![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিজস্ব প্রতিবেদক :: হামলাকারীকে ক্ষমা করে প্রশংসায় ভাসছেন শায়েখে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করিম।
হামলাকারীকে ক্ষমা করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম। তার এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পঞ্চম পরিষদের নির্বাচনে মেয়র পদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ছিলেন ফয়জুল করিম। নির্বাচনের দিন বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করছে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর লোকজন এমন খবর পেয়ে নগরীর চৌমাথা এলাকায় সাবেরা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছুটে যান মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করিম। এ সময় নৌকার প্রার্থীর লোকজন তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। পরবর্তীতে ভিডিও দেখে হামলাকারী স্বপনকে শনাক্ত করা হয়। ওই নির্বাচনে আবুল খায়ের মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় বহাল তবিয়তে ছিলেন হামলাকারী স্বপন। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হলে স্বপন আত্মগোপনে চলে যায়। এতদিন পালিয়ে থাকার পর গত মঙ্গলবার এলাকায় আসে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বপনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরই মধ্যে পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম হামলাকারীকে সাধারণ ক্ষমার কথা জানান।
এ ঘটনায় তার (ফয়জুল করিম) পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হবেনা বলেও জানিয়ে দেন পুলিশ কমিশনারকে। রাজনৈতিক কোন মামলার আসামী না হওয়ায় মঙ্গলবার রাতেই স্বপনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি স্বীকার করে কোতয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, মুফতি ফয়জুল করিম হামলাকারীকে ক্ষমা করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে অভিযোগ করেননি। এছাড়া অন্য কোন মামলার আসামীর তালিকায়ও স্বপনের নাম নেই। এ কারণে মঙ্গলবার রাতেই তাকে স্ব-সম্মানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।