ঢাকাবুধবার , ১৯ মার্চ ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গৌরনদীতে চাঁ*দাবা*জির কারণে  বিএনপি ধ্বং*সের মুখে

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মার্চ ১৯, ২০২৫ ৭:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: গৌরনদীতে চাঁ*দাবা*জির কারণে  বিএনপি ধ্বং*সের মুখে।

গৌরনদী পৌর বিএনপি বর্তমানে ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, দলটির অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা, চাঁদাবাজি এবং অযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দলটির কিছু নেতা আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল, যার ফলে সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপির গৌরনদী পৌর কমিটিতে অযোগ্য ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা দলের আদর্শের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দলীয় পদ ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজির অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিএনপির এই অংশটি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কিছু নেতার সাথে একত্র হয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করত। তাদের এই অপকর্মের কারণে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এবং বিএনপির প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা কমে গেছে।

২৭ অক্টোবর ২০২৪ গৌরনদী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম জাকির হোসেনসহ তিন নেতাকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চাঁদার জন্য এক ব্যবসায়ীকে মারধরের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

 

চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত নেতাদের বহিষ্কার করা হলেও, তারা এখন কোন এক প্রভাবশালী নেতার প্রভাব খাটিয়ে বহিষ্কার হওয়া সত্ত্বেও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে । স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, বহিষ্কৃত নেতারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করছে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

পরবর্তীতে ১৯ মার্চ ২০২৫ গৌরনদী পৌরসভায় কর্মচারীকে মারধরের সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ মিয়াকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

 

বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফরিদ মিয়া দলবল নিয়ে পৌরসভার কর্মচারী গিয়াস উদ্দিন খন্দকারকে মারধর করেন এবং নোটিশের জবাব না দিয়ে পরবর্তীতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। এজন্য তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।