
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে খালেদা জিয়ার রো*গমুক্তি কামনায় বিএনপি নেত্রী নাসরিনের উদ্যোগে ইফতার দোয়া-মোনাজাত।
মহানগর বিএনপি নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন বরিশালে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার আয়োজন করেন, যেখানে তার দলীয় নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করা হয়। সোমবার (২৪ মার্চ) শহরের পুলিশ লাইনসে বিপরিত পার্শ্বে ‘চিনামুন’ রেস্তোরাঁয় আয়োজিত ইফতার পার্টিতে বরিশালের অধিকাংশ সাংবাদিকদের দেখা গেছে।
ইফতারপূর্ব আলোচনায় বরিশাল মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন তার দলের সর্বোচ্চ নেতা বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনাসহ তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য প্রার্থন করেন। এবং দলীয় সকল নেতাকর্মীকে তাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা প্রতিপালন করার আহ্বান রাখেন।
এর পরে দোয়া-মোনাজাতেও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করা হয়।
বিএনপির প্রবীণ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, মহানগর বিএনপির তিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা কাজল, হাবিব মৃধা, জহিরুল ইসলাম লিটু এবং ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক নুরুজ্জামান দোলন, ১৫ নং সদস্যসচিব খালিদুল ইসলাম ইমন, মহানগর বিএনপির সদস্য নওশাদ নান্টু, সিরাজুল হক মৃধা ও নুরুল ইসলাম পনির উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মী সাংবাদিকদের সাথে ইফতারে অংশ নেন।
ইফতার পার্টিতে সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজকের পরিবর্তন পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক কাজী মিরাজ মাহামুদ, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, নয়াদিগন্ত পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো চিফ আযাদ আলাউদ্দীন, বাংলাভিশনের শাহীন হাসান, আজকের পত্রিকার খান রফিক, সমকালের সুমন চৌধুরী, ডিবিসি চ্যানেলের বরিশাল ব্যুরো অপূর্ব অপু, দক্ষিণের প্রতিবেদনের সম্পাদক রাইসুল ইসলাম অভি, মতবাদের খান রুবেল, ঢাকা পোস্টের সৈয়দ মেহেদী হাসান, বাংলানিউজের মুসফিক সৌরভ, দক্ষিণের প্রতিবেদনের সুমাইয়া জিসান এবং রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার ব্যুরো চিফ ও নিউজ এডিটরস কাউন্সিল, বরিশালের সভাপতি হাসিবুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এলবার্ট রিপন বল্লভ।
উল্লেখ্য, ছাত্রনেতৃত্ব থেকে উঠে আসা নাসরিন গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে নানা নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হয়েছেন, কিন্তু তারপরেও রাজপথ ছাড়েননি। যার কারণে তাকে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়। ৫ আগস্ট পূর্বাপর তিনি সরকার পতন আন্দোলনে সম্মুখভাগে ছিলেন, দিয়েছেন কর্মীদের নেতৃত্ব। বরিশাল মহানগর বিএনপির বড় একটি বলয়কে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন তিনি।’