ঢাকাশুক্রবার , ২৮ মার্চ ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে সাংবাদিকদের ওপর হাম*লার ঘটনায়  ছাত্রদল নেতাদের বি*রু*দ্ধে মা*মলা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মার্চ ২৮, ২০২৫ ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল আদালতের সম্মুখে সাংবাদিকদের ওপর হাম*লার ঘটনায়  ছাত্রদল নেতাদের বি*রু*দ্ধে মা*মলা।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা সহ ক্যামেরা ভাঙচুর ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ি সহ নামধারি ১৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। দায়েরকৃত মামলার বাদী হলেন- বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের গেটে সাংবাদিকের ওপর হামলা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এজাহার পেয়েছি। সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে, তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

আসামীরা হলেন- বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল রাঢ়ি (৩০), বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আলমাস (২৬), মহানগর ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও নগরীর ১০নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. মাসুদ হাওলাদার মাসুম (৩৫), মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১০নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাগর হোসাইন খান (৩৫), মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন (৩৫), বরিশাল জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহম্মেদ (৩৪) ও আমজাদ হোসাইন (৩৫), জেলা ছাত্রদলের সদস্য নাঈম (২৬), মো. জাহিদ (২৫), মো. শাওন (২৮), মো. মাহিম (২৬), জুয়েল শেখ (৩০), ও মেহেন্দিগঞ্জ আলিমাবাদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবক দল এর সদস্য মাসুদ সিকদার (৩৭) সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন।

দায়েকৃত মামলার বাদী বলেন, সাংবাদিকরা কোনো দলের নয়, তারা তাদের কাজ করবে—এটাই স্বাভাবিক। সেই কাজে বাধা দেওয়া, সাংবদিকদের মারধর করা এবং তাদের মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া, ক্যামেরা-মোবাইল ভাঙচুর করার মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম কেউ করে পার পেয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই আমরা আইনগতভাবে যেমন বিষয়টি দেখেছি, তেমনি সন্ত্রাসীর বিচারও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দর কাছে দাবি করেছি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল জজ কোর্ট থেকে সংবাদ সংগ্রহ শেষে স্থানীয় দৈনিক ভোরের আলো পত্রিকার ফটো সাংবাদিক এন আমিন রাসেল ও দৈনিক বরিশাল মুখপত্র পত্রিকার রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম বেড়িয়ে যাবার সময় আদালতের প্রধান ফটকের সামনে বসে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ির নেতৃত্বে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। পরে হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে বাকিদেরও চিহ্নিত করেন সাংবাদিকরা। ঘটনার পর আহত ওই দুই জনকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

 

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আদালতের প্রধান ফটকে পুলিশের একটি গাড়িকে পথরোধ করে ছাত্রদল নেতারা। সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উপর চড়াও হন ছাত্রদলের সাংবাদিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ি সহ অন্যান্যরা। তারা আব্বাস নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ রক্ষা করেছে এমন দাবি তুলে এবং পুলিশের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এ সময় সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদেরকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে হামলা চালিয়ে তাদের ব্যবহৃত মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হলে ছাত্রদল নেতারা সেখান থেকে সটকে পরে। এসময় সাংবাদিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা সড়ক থেকে উঠে যায়।