
নিজস্ব প্রতিবেদক :: নগরীর সিএন্ডবি রোড এলাকায় মহাসড়কের পাশে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারেনি বিসিসি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করে তারপরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আহবান জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন এবং বাসদ নেত্রী মনিষা চক্রবর্তী।
গতকাল রোববার দুপুরে বরিশাল নগরীর ২২ নং ওয়ার্ড এর কাজীপাড়া এলাকায় ছিলো এ নিয়ে টানটান উত্তেজনা। পাশেই মহাসড়কের উপর পড়ে আছে ছাত্র-জনতার ভেঙে দেয়া অবৈধ শিশুপার্কটি। যা এখনো সড়ক থেকে সরেনি। মনীষা চক্রবর্তী অবৈধ শিশুপার্কটি দেখিয়ে বলেন, জরুরী প্রয়োজনীয় বিষয়ে গুরুত্ব নেই অথচ অভ্যন্তরীণ সড়কের পাবলিক হেলথ এর জায়গায় গড়ে ওঠা ৩০/৪০টি দোকান উচ্ছেদ করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
মনীষা চক্রবর্তী বলেন, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে আমরা কাউকে উচ্ছেদ করার পক্ষে নই। এজন্যই বাধা দিচ্ছি।
মহানগরের বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, এই লোকগুলো এখানে দোকানপাট করে কোনোভাবে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের হঠাৎ এভাবে উচ্ছেদ করা হলে তারা যাবে কোথায়, কি করে খাবে। তাছাড়া তাদের উচ্ছেদ করে এখানে নতুন কাউকে বসানো হবেনা এর নিশ্চয়তা কি।
তার এ কথার সাথে অবৈধ দোকানপাটের মালিকরাও সহমত জানিয়ে চিৎকার করে শ্লোগান ধরেন। তাদেরও বক্তব্য হচ্ছে, আমাদের উচ্ছেদ করে নতুন কাউকে বসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা তা হতে দেবোনা।
এ বিষয়ে বরিশালের কাজীপাড়া সড়কের স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণে সড়কের একপাশ ঘেঁষে দোকানঘর তোলা শুরু হয়। এভাবে গেল ১৫ বছরের ব্যবধানে যে যার মত করে দোকান ঘর তুলে ব্যবসা শুরু করে। সময় যত গড়িয়েছে বিভিন্ন স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে দোকান ঘরের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে সেখানে অর্ধশতাধিক দোকান ঘর রয়েছে। পূর্বে সড়ক থেকে ৩ থেকে ৪ ফুট জমি ছেড়ে দোকান ঘর তোলা হলেও বর্তমানে একেবারে মূল সড়কে গড়ে তোলা হয়েছে দোকান ঘর। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সেখানকার সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদার।
এ কারনে ১৩ এপ্রিল রবিবার দুপুরে বুলডোজার এবং একাধিক ট্রাক নিয়ে অবৈধ দোকানঘর উচ্ছেদ করতে যায় সিটি কর্পোরেশন। সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, দুই নেত্রী এসে কাজে বাধা সৃষ্টি করে বুলডোজার ঘিরে সেখানে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা সেখান থেকে ফিরে আসে। এসময় কোন ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না হয় সে জন্য সেনাবাহিনীর একাধিক টিম কাজীপাড়া এলাকায় উপস্থিত ছিলো।