নিউজ ডেস্ক :: স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় তিনজনের ফাঁসি, দুইজনের যাবজ্জীবন
যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ৭২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড, দুই ভারতীয় নাগরিকের যাবজ্জীবন ও চার আসামির ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিতদের মধ্যে ৬ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিনজন হলেন-মহিউদ্দিন তরফদার ওরফে শান্তি, জাহিদুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমান। তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
দুই ভারতীয় নাগরিক মাসুদ রানা ও শফিকুল মণ্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ, ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।বাকি চার আসামি সাফি, ইমরান হোসেন, কবির হোসেন ও রুবেল হোসেনকে ২০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাত ১০টার দিকে যশোরের শার্শা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম নারিকেলবাড়িয়ায় কয়েকজন লোক অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে। এসময় বিজিবি সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অন্যরা দুইটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে গেলেও বিজিবি সদস্যরা মহিউদ্দিন তরফদার নামে একজনকে একটি ব্যাগসহ আটক করে।
এ তিনটি ব্যাগ থেকে ৬২৪ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ৭২ কেজি ৪৫০ গ্রাম।
পরে এ ব্যাপারে বিজিবির শিকারপুর বিওপির হাবিলদার মুকুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও কয়েকজনকে আসামি করে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। তদন্ত শেষে ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় প্রদান করেন বলে জানিয়েছেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এপিপি মো. আসাদুজ্জামান।