
নিউজ ডেস্ক :: এনটিআরসিএর যাত্রা শুরু ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে। এর দুই বছরেরও কম সময় পরেই অভিশপ্ত ওয়ান-ইলেভেন। শিক্ষার উন্নয়নে আমাদের সব পদক্ষেপ আটকে গেলো।
এরপর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামী লীগ এসে পুরো প্রক্রিয়াটাকেই ধবংস করা শুরু করলো। ১৫ বছর ধরে চললো ধবংসযজ্ঞ। এমন জটিল অবস্থা তৈরি করেছে যে এটাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে বিএনপি সরকার এনটিআরসিএ করেছিলো আমেরিকার আদলে। যেখানে শিক্ষকতা মহান পেশা, সম্মানের, বেশি সুযোগ সুবিধার।
একইভাবে শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার লাইসেন্স পাওয়াই কঠিন। শুধু ভালো রেজাল্টধারীই নয়, এমনকি আর্থিক সততাই শেষ কথা নয়– ব্যক্তির নৈতিক ও মানসিক সততাও দেখা হয়।
দীর্ঘমেয়াদী নিয়োগ পরীক্ষার সব ধাপ পার হওয়ার পর ডেমো ক্লাস। সেখানে সন্তোষজনক ফল দেখাতে পারলেই কেবল লাইসেন্স দেওয়া হয়। তারপর প্রতিষ্ঠান প্রধানের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে, তার কোন গ্রেডের লাইসেন্স রয়েছে আর বাস্তবে তাকে কোন গ্রেডে নিয়োগ দিয়ে বেতন-ভাতা দেওয়া যায়। Teacher recruitment
যেহেতু লাইসেন্সধারী একাধিক পদ প্রত্যাশী তার কাছে চাকরির জন্য যান। সব শেষে তাকে শ্রেণিকক্ষে পাঠানো হয়। ঠিক তেমনটাই করতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশে। কিন্তু সম্প্রতি যে অবস্থা শুনছি তাতে মন খারাপ হতে বাধ্য।
তবে, আমি আশাবাদী মানুষ, আমি আশা করি বিএনপি ক্ষমতায় এলে এনটিআরসিএকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক নিয়োগ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আমি মনে করি, নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের যে পদ্ধতি বর্তমানে চালু রয়েছে সেটা আরো কঠিন করা দরকার। একাধিক প্রতিবেদনে জানতে পারলাম, মাত্র এক থেকে দেড় মিনিটের ভাইভা সম্পন্ন হয়। সেখানে গতানুগতিক প্রশ্ন করা হয়।
ভালো রেজাল্ট বা লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া মানেই শ্রেণিকক্ষে ভালো পাঠদানের নিশ্চয়তা নয়। স্কুল-মাদরাসার শিক্ষককে চাইল্ড সাইকোলজি বুঝতে হবে। আরো অনেক বিষয় রয়েছে। একইসঙ্গে বেতন-ভাতাও বেশি দিতে হবে। নইলে মেধাবীরা স্কুল-মাদরাসায় শিক্ষকতা করতে আসবেন কেনো?
নতুন যে উদ্যোগের কথা শুনলাম সেটা হবে আত্মঘাতী। অবশ্যই প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইভা এবং ডেমো ক্লাস নিয়েই প্রার্থী বাছাই করতে হবে। ভাইভার নম্বর যোগ করার বিধান যুক্ত করা উচিত।
কে শিক্ষক হবেন তার মানদণ্ড ঠিক করতে অবশ্যই লিখিত পরীক্ষা হতে হবে। যিনি লিখিত পরীক্ষা দিতে পারবেন না বা উপযুক্ত হবে না, তাকে শিক্ষকতা পেশার লাইসেন্স দেওয়া উচিত হবে না।