
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরগুনায় বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামে ডাকাত ও গ্রামবাসীর গোলাগুলির ঘটনায় ১১ ডাকাতি মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন রিপনকে (৪৫) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। রোববার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরআগে পুলিশের সহায়তায় আহত ডাকাত সর্দার রিপনকে উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
নিহত ডাকাত সরদার আনোয়ার হোসেন রিপন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিশাখালি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত দেড়টার দিকে বামনা থানাধীন চার নম্বর ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের আফজাল মাস্টারের বাড়িতে অজ্ঞাত ছয় থেকে সাত জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র সহকারে ঘরের পেছনের গ্রিল ভাঙার চেষ্টা করে। এ সময় ঘরের লোকজন শব্দ পেয়ে জেগে উঠে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতরা স্থানীয়দের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পরে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পাশের বাড়ির সুমন জোমাদ্দারের লাইসেন্স করা দুই নলের ১২ বোরের অস্ত্র দিয়ে পাঁচ রাউন্ড গুলি করলে আনোয়ার হোসেন রিপন নামে একজন ডাকাতের ডান পায়ে গুলি লেগে মাটিতে লুটিয়ে পরলে স্থানীয় লোকজন তাকে একটি পাইপগান ও তিন রাউন্ড গুলিসহ আটক করে রাখেন। এ সময় অন্য ডাকাতরা দৌড়িয়ে পালিয়ে যান। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন থানায় সংবাদ দিলে বামনা থানার টহল টিম এসআই মো: নজরুল ইসলাম তাহার সঙ্গীয় অফিসার দলসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ডাকাতকে উদ্ধার করে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। পরে আজ তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হারুন অর রশীদ হাওলাদার বলেন, একদল ডাকাত প্রথমে একই এলাকার মিরাজের বাড়িতে ডাকাতি করে রাত দেড়টার দিকে আফজাল মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে ডাকাত ও গ্রামবাসীর মধ্যে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনোয়ার হোসেন রিপনকে উদ্ধার করে বামনা হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’