ঢাকারবিবার , ১ জুন ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে ভবন নি*র্মা*ণ কা*র্য*ক্র*মে ১০ লাখ টাকা চাঁ*দা দা*বি, আদালতে মা*ম*লা

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুন ১, ২০২৫ ৪:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: পৈতৃক সম্পত্তিতে নতুন করে ভবনের কাজ করলে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের অর্থসহ মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে। এমন অভিযোগ এনে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. নুরুল আমিন বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী মো. আবু সাদেক। চলতি বছরে ২৮ মে মামলাটি দায়ের করেন বরিশাল চকবাজার বিউটি রোডের বাসিন্দা সৈয়দ আশিক চৌধুরী।

দায়েরকৃত মামলার আসামি হলেন- বরিশাল কাউনিয়া থানার অন্তর্ভুক্ত নগরীর দক্ষিণ পলাশপুর এলাকার মো. কাদের মল্লিক এর ছেলে মো. কালাম মল্লিক (৫০), ভাটিখানা মুন্সি বাড়ির মৃত মাও. আঃ মজিদের ছেলে আবুল হাসান কুদ্দুস (৫০), মামলার ১নং আসামি কালাম মল্লিকের ছেলে রাকিব মল্লিক (৩৫), পলাশপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল (৩২), মামলার ২ নং আসামি আবুল হাসান কুদ্দুসের ছেলে মিরাজ (৩০), বরিশাল সদর কোতয়ালী থানার অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ চকবাজার এলাকার বাসিন্দা এলেন খাঁ এর ছেলে মো. রাব্বি (২৮) এবং আঃ রসিদ এর ছেলে জাহাঙ্গির (৪৫) ও কবির (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে- গত ২১/০৫/২০২৫ তারিখ রোজ বুধবার সকাল ১০ টার সময় বাদী তার জমিতে শ্রমিকদের নিয়ে কার্যক্রম করলে আসামীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ডেগার, রামদা, ছানা লোহার রড, শাবল নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে বাধা দেয়। বাদী ও তার স্ত্রীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে ১নং আসামি বাদীর মাথার উপর পিস্তল ও ২নং আসামি বাদীর পিঠে ডেগার ধরে ৩, ৪ ও ৫নং আসামীরা বাদীর হাত ধরিয়া রাখে এবং ৬,৭ ও ৮ নং আসামীরা বাদীর স্ত্রীকে ঘিরে রেখে কাপড় টানা-হেঁচড়া করে।

আসামীরা বাদীর প্যান্টের পকেট থেকে শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তার স্ত্রীর তিন লক্ষ টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

বাদী জমিতে থাকা বড় একটি সাইনবোর্ডসহ লেবারদের কাজের কড়াই, বেলচা, কোদাল ও শাবলসহ অন্যান্য মালামাল নিয়া যায়। দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিয়ে কোনো কাজ করতে পারবে না বলে আসামিরা হুমকি দিয়ে চলে যায়।