ঢাকাশনিবার , ৭ জুন ২০২৫

ডে*ঙ্গু-ডায়রিয়ার স*ঙ্গে নতুন করে করোনা বি*স্তা*রের শ*ঙ্কা*য় উ*দ্বি*গ্ন স্বা*স্থ্য বিভাগ, নেই কিট ও প্র*স্তু*তি

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুন ৭, ২০২৫ ১:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিভাগে ডায়রিয়া ও ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রকোপের মধ্যেই করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের (অমিক্রনের উপধরন) বিস্তার নিয়ে উদ্বেগে আছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর বিস্তার মোকাবিলায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে বিভাগের ৪০টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নতুন করে করোনা শনাক্তকরণ, চিকিৎসায় কোনো প্রস্তুতি না থাকায় আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাকেই একমাত্র ভরসা হিসেবে দেখছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয় থেকে অনলাইন সভায় করোনা রোগীর জন্য আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষ প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছি, যা ঈদের পরে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কোনো সুবিধা নেই। দুই বছর আগের কিট দিয়ে পরীক্ষা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষকে নতুন কিট ও সরঞ্জাম পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এখন কেবল উপসর্গের ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যেমন ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে এই বিভাগে ডায়রিয়া ও ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রকোপ মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। নতুন করে করোনার প্রকোপ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এ জন্য বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৪০টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ব্যবস্থা চালুর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে করোনা পরীক্ষার জন্য কিট ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহের বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোতে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু, আইসোলেশনের ব্যবস্থা ও ওয়ার্ড চালু করার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কাছে পরীক্ষার কোনো কার্যকর পদ্ধতি নেই। তাই উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করেই ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। তবে আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে—মাস্ক ব্যবহার, সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশনে থাকা এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিকল্প নেই। হালকা জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে যেসব রোগী আসছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে নতুন ধরনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না হলেও রোগ নিয়ন্ত্রণে সতর্কতা ও সচেতনতাই এখন প্রধান করণীয়।’

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার ২০২২ সাল থেকে নিম্নমুখী হতে শুরু করে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৫ সালের ৩ জুন পর্যন্ত করোনায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।