ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯ জুন ২০২৫

ডে*ঙ্গু আত*ঙ্কে পটুয়াখালী, হাসপাতালগুলোতে রো*গীর ভিড়

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুন ১৯, ২০২৫ ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালী জেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ক্রমেই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩০ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া স্বাক্ষরিত ‘দৈনিক ডেঙ্গু রোগীর প্রতিবেদন’ অনুযায়ী, জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনে ৩০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ২১ জন এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন। এছাড়া কলাপাড়ায় ২ জন, গলাচিপায় ৫ জন ভর্তি হয়েছেন। দশমিনা, বাউফল ও দুমকি উপজেলায় এদিন নতুন করে কেউ ভর্তি হননি।

চলতি বছরের (১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুন) পর্যন্ত জেলায় সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট ৪৫৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪০৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০ জন।

সরেজমিনে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ রোগীদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ডেঙ্গু রোগীদের। এতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রোগীদের।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুমকি উপজেলার আনসার সদস্য জয়নুল আবেদিন এবং গলাচিপা উপজেলার দশম শ্রেণির ছাত্রী বিথি দেবনাথ এর মধ্যে রয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এডিস মশার বিস্তার রোধে নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি। জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ, মশার জন্মস্থল ধ্বংস এবং ব্যক্তিগত সাবধানতা অবলম্বনের পাশাপাশি মশকনিধনে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

পটুয়াখালী পৌরসভার প্রশাসক জুয়েল রানা জানান, এডিস মশার বিস্তার রোধে পৌরসভা নিয়মিত স্প্রে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে যারা নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করে ড্রেনসহ জমে থাকা পানি অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়া মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের শিশু, নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আলাদা ওয়ার্ডের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।