নিজস্ব প্রতিবেদক :: পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার এক বছর পাড় হলেও ব্যবসায়িকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের অত্যাধুনিক বিলাসবহুল লঞ্চের মালিকরা। ইতোমধ্যে লোকসানের বোঝা কমাতে বিক্রি হয়েছে সুরভী কোম্পানির একটি লঞ্চ। লোকসান কমাতে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার আগে প্রতিদিন বরিশাল ও ঢাকা প্রান্ত থেকে ১৩ থেকে ১৪টি লঞ্চ একযোগে ছেড়ে আসতো বরিশালে। প্রতিটি লঞ্চের কেবিন, সোফা ও ডেকে থাকতো যাত্রী পরিপূর্ণ। পন্টুনে দাঁড়ানোর জায়গা থাকতো না। এখন সেই চিত্র পাল্টে গেছে। গ্রুপিং করে দুই প্রান্ত থেকে দুটি করে লঞ্চ ছেড়ে আসছে। তাতেও যাত্রী মিলছে না। বেশিরভাগ কেবিন থাকছে খালি। প্রতিটি লঞ্চ পাঁচদিন বসে থেকে ট্রিপ মিলছে। এরপরও ব্যবসার দেখা মিলছে না।
পদ্মা সেতু লঞ্চের জিম্মিদশা থেকে যাত্রীদের রক্ষা করেছে, তবে আরামদায়ক ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে এ শিল্পকে ব্যবসায়ীক ধারায় ফিরতে দাবি জানালেন সাধারণ যাত্রীরা। দেশের নৌযান শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা চাইলেন লঞ্চ ব্যবসায়ী নেতারা।