
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান অল্প সময়ের মধ্যেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সুনাম অর্জন করেছেন। দক্ষতা, সততা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তিনি এলাকাবাসীর কাছে হয়ে উঠেছেন আস্থার প্রতীক ও প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা।
২০২৪ সালে কোতয়ালী মডেল থানায় দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই ওসি মিজানুর রহমান ঘুষ-দালালমুক্ত থানা গঠনের ঘোষণা দেন। তার নেওয়া ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপে পাল্টে যায় থানার চিত্র, ফিরতে থাকে জনগণের আস্থা।
সন্ত্রাস, মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন অপরাধ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তিনি এক কৌশলী পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়েছেন। অপরাধ দমনের মাধ্যমে থানার আওতাধীন এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
✅ সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
যোগদানের পরপরই তিনি সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। বিশেষ করে বরিশাল নগরীর চিহ্নিত ক্রাইম জোনগুলোতে প্রায় প্রতিদিন রাতেই তাকে নিজে ডিউটিরত অবস্থায় দেখা যায়। পুলিশের গাড়ি নিয়ে নিয়মিত টহল দেন তিনি নিজেই।
মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ওসি মিজান বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করেছেন। যার ফলে এলাকায় মাদকের ছোবল অনেকাংশে কমেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।
✅ বিট পুলিশিং, মিথ্যা মামলা রোধ ও জনগণকে কাছে টানা
জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে তিনি বিট পুলিশিং কার্যক্রমে গতি এনেছেন। কমেছে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রবণতা। সম্পদ বণ্টন, পারিবারিক কলহ, নির্যাতনের মতো সামাজিক সমস্যার সমাধানে থানায় প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা দরজায় সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
✅ জনগণের কণ্ঠে প্রশংসা
সাগরদী এলাকার বাসিন্দা ছাত্তার আলী বলেন, “এত মানবিক ওসি এর আগে দেখিনি। তাকে কখনো পুলিশ মনে হয় না, মনে হয় পরিবারের একজন। তবে অপরাধীদের কাছে তিনি ভয়ঙ্কর আতঙ্ক।”
হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী জুয়েল রানা বলেন, “আগে থানা মানেই ছিল হয়রানি, ঘুষের ভয়ে পালিয়ে থাকা। এখন সেই ধারণা পাল্টে গেছে, থানাকে মনে হয় নিরাপদ আশ্রয়। সবই বর্তমান ওসি সাহেবের কারণে।”
✅ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওসি মিজানুর রহমান বলেন,
“অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষের মাঝে পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার স্যারের নির্দেশনায় সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। জনগণের আস্থা অর্জনই আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।