ঢাকাশুক্রবার , ১ আগস্ট ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পটুয়াখালীতে সাংবাদিকদের বি*রু*দ্ধে মা*ম*লা করা সেই বিএনপি নে*তা*সহ ব*হি*ষ্কা*র ২

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
আগস্ট ১, ২০২৫ ৬:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান জুয়েল এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ বায়েজিদকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে জেলা বিএনপি কর্তৃক এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান টোটনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদককে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দু’জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যারা দলীয় আদর্শ বা শৃঙ্খলা ভঙ করবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ‘চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর বিএনপি নেতার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে কামরুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে একজন স্থানীয় ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনা উঠে আসে।

সংবাদটিকে ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে কামরুজ্জামান জুয়েল ২৪ এপ্রিল বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দৈনিক সমকাল পত্রিকার পটুয়াখালী প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন, চ্যানেল 24-এর পটুয়াখালী প্রতিনিধি এমকে রানা এবং সংবাদটি সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করায় স্থানীয় যুবক মাসুম হাওলাদারকে আসামি করা হয়।

এই মামলার পর সাংবাদিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সাংবাদিক নেতারা বলছেন, স্বাধীন সংবাদ প্রকাশের পর এ ধরনের মামলা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তার জন্য হুমকি। স্থানীয় সাংবাদিকদের অনেকেই দাবি করেছেন, সংবাদটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে, এতে কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিততা নেই।

অন্যদিকে বিএনপির স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ের একাধিক সূত্র বলছে, জুয়েল ও বায়েজিদের দলীয় কর্মকাণ্ড এবং বহিরাগত প্রভাবের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ ছিল। সম্প্রতি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং তার পেছনের বিতর্কিত ভূমিকাও কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচিত হয়। সবকিছু পর্যালোচনার পর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।