ঢাকাশুক্রবার , ১ ডিসেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শ্রেণিকক্ষ দখল করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শিক্ষকের বসবাস

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ডিসেম্বর ১, ২০২৩ ৮:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  শ্রেণিকক্ষ দখল করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শিক্ষকের বসবাস।

বরিশালের আগৈলঝাড়া রামানন্দের আঁক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তন্ময় বৈদ্যর বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে সাংবাদিকারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ওই শিক্ষক সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দের আঁক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পরিবার নিয়ে কয়েক বছর ধরে বসবাস করে আসছেন ওই বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক তন্ময় বৈদ্য। ওই শিক্ষকের বাড়ি একই উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামে।

তিনি বিদ্যালয়টির পূর্ব পাশের একতলা নতুন ভবনে একটি শ্রেণিকক্ষ দখল করে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বসবাসরত কক্ষের সঙ্গে শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের টেবিল ও বেঞ্চ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তাদের খাবার টেবিল এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল পরিশোধ করতে হয় বিদ্যালয়ের।

একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলে, ক্লাশরুমের সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করাতে তাদের পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। ক্লাস চলাকালে রান্না করায় তাদের চোখ জ্বলে এবং হাচি-কাশি হয়। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, ‘শিক্ষক তন্ময় বৈদ্যর আবেদনের প্রেক্ষিতেই তাকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে থাকতে দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি বিষয়টি ভালো জানেন।’

অভিযুক্ত শিক্ষক তন্ময় বৈদ্যর কাছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি না।’ উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার মো. মাহাবুবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যদি ওই শিক্ষক পরিবার নিয়ে শ্রেণিকক্ষ দখল করে বসবাস করে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিত্যনন্দ মজুমদার বলেন, আমরা তাকে থাকতে দিছি এটা সত্য। কিন্তু ক্লাশ চলাকালে রান্না করলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হয়, তা আমার জানা ছিল না।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দখল করে থাকার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষক শ্রেণিকক্ষ দখল করে থাকার বিষয়টি আমি জানতে পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’