
নিজস্ব প্রতিবেদক :: জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর বক্তব্য নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত বিবৃতি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
শনিবার (৪ অক্টোবর) আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি খোলাসা করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত বিবৃতি একটি বিবৃতি তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা কিছুটা হলেও জণমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ’র বক্তব্য হচ্ছে…
১. বিবৃতির ভাষা ও বক্তব্য শুধুমাত্র আমার রাজনৈতিক সততা, নিষ্ঠা ও জনপ্রিয়তাকে কলুষিত করার জন্যই বলে মনে হয়েছে। এটা অসত্য ও রাজনৈতিক শিস্টাচার বহির্ভুত বিবৃতি।
২. স্বৈরাচার এরশাদের জাতীয় পার্টি আমি কোনদিন করিনি। আমি যেই জাতীয় পার্টির মহাসচিব থেকে বিএনপিতে যোগদান করেছি সেই জাতীয় পার্টি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোটভুক্ত ছিল। আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমার ত্যাগ ও ভূমিকাকে বিবেচনা করেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে বিএনপিতে গ্রহণ করেছিলেন।
৩. হাসিনার ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসন আমলের পুরো সময়টাই আমি ঢাকা ও বরিশালের প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। ঢাকায় একাধিকবার জেলেও গিয়েছি।
৪. জনমত ২৪’ নামক একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে বরিশাল জেলা বিএনপি যেই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে নেতিবাচক বিবৃতি দিয়েছে সেই সাক্ষাৎকারের কোথাও জেলা, মহানগর বা উপজেলা বিএনপির কথা উল্লেখ নেই। এছাড়া আমি নিজেকে একমাত্র আন্দোলনকারী হিসেবে কোথাও দাবি করিনি। কারণ সকল নেতাকর্মী এই আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেছেন।
অথচ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তারা এই অসত্য বাক্যগুলো উপস্থাপন করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
৫. ঐ সাক্ষাৎকারে একটি যায়গায় যে বক্তব্য রয়েছে তা উপস্থাপনের মধ্যে অসাবধানতাবশত ভাষাগত একটু ভুল ছিল। সেখানে আমি বুঝাতে চেয়েছি- যেসব নেতাকর্মীরা দুঃসময়ে সহায়তা পায়নি বা তার পরিবার সহায়তা পায়নি আমি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। এখানে কারও ভুমিকা ছোট করা বা কারও ভুমিকা বেশি দেখানোর উদ্দেশ্য ছিল না। তবে ২৮ অক্টোবরের পরে বরিশালে আন্দোলনের সংকটকালীন সময়ে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন বা আহত হয়েছেন তাদেরকে আমি সাধ্যমত সহায়তার চেষ্টা করেছি। এই কথাগুলো তাদের অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। তারা সকলেই দলের নেতাকর্মী ছিল।
৬. ৭ই জানুয়ারির পুর্বের যে ছবিটি বারবার আপলোডের কথা বলা হয়েছে সেটা আমার ফেসবুক আইডি থেকে আমি আপলোড করিনা৷ নেতাকর্মীরা সেটা আপলোড করে। কিন্ত সেটাকি কোন অন্যায় কাজ কিনা? বরিশাল জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও সদস্য সচিবের আমি প্রশ্ন রাখছি।
যেহেতু এই বিবৃতি অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সেহেতু এই ধরণের বিবৃতিতে দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি ও বিভক্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই ঐ বিবৃতি বরিশাল জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ, দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ও বিভক্তিমুলক রাজনীতি আমি বিশ্বাস করিনা। তবে অসাবধানতাবশত বাক্য চয়নের ক্ষেত্রে যদি কোন নেতাকর্মী কষ্ট পেয়ে থাকেন সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।


