
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির নলছিটিতে ছাত্রদলের দুই নেতা রাতের আধারে অবৈধভাবে বালু উত্তলনের সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১২ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টার দিকে নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের বীরনারায়ন গ্রামের খয়রাবাদ নদী থেকে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সুজন গাজী ও দপদপিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সাগর মল্লিকের নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ৫ ই আগষ্টের পর থেকেই এই দুই ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে দলের প্রভাব খাটিয়ে সরকারের কোন ইজারা ছাড়াই খয়রাবাদ নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে রাতের আধারে চুরি করে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করে। আর এ কারনেই দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। আর নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে বীরনারায়ন, শেখরকাঠি, রামনাকাঠি ও জুরকাঠির শত শত ঘর বাড়ি। এই চার গ্রামের শতশত পরিবার নদী ভাঙ্গনে তাদের ঘর বাড়ি, জমিজমা সব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা বলেন, ছাত্রদল নেতা সুজন ও সাগর মল্লিকের নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তলনের কথা জানতে পেরে অনেকভাবে তাদের অনুরোধ করলেও তারা দলের প্রভাব খাটিয়ে জোড় করে বালু উত্তলন করে। গত রবিবার রাতে বালু উত্তলনের সময় বালুর জাহাজসহ ছাত্রদল নেতা সুজন ও সাগর মল্লিককে এলাকাবাসী আটক করে গনধোলাই দেয়। পরে ইউনিয়ন বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার অনুরোধে তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কোনদিন এই কাজ করবেনা বলে সবার কাছে ক্ষমা চাইলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জনতার তোপের মুখে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সুজন গাজী বলে দুই বোট বালু নিমু ভাই। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ছাত্রদলের এই দুই নেতাকে মারধর করে। শুধু বালু উত্তোলনই নয়, ছাত্রদলের এই দুই নেতার বিরুদ্ধে ৫ ই আগষ্টের পর বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষ কে হয়রানি, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম রনি বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবের সঙ্গে কথা বলে শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।