
নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রতিবন্ধীতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’প্রতিপাদ্যে বুধবার বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে ২৭তম জাতীয় ও ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: খায়রুল আলম সুমন।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীতার শিকার মানুষের সংখ্যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। প্রতিবন্ধীতা রুখে দেওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ ও সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হলো প্যারেন্টিং এডুকেশন। যার মাধ্যমে মা-বাবাকে শিশুর যতেœ যথাযথভাবে সচেতন ও শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব। দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন। তাদের কর্মকা- ও অবদানের প্রতি সম্মান জানানো। সমাজে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করা, যাতে তারা সমান সুযোগ-সুবিধা পান।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল। এ সময় একজন মানুষের মস্তিষ্কের ৯০ শতাংশ বিকাশ ঘটে। আর সামান্যতম অবহেলায় শিশুর জন্য হতে পারে বিরাট ক্ষতির কারণ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দিবসটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রতিবন্ধী মানুষ এ সমাজের বোঝা নয়, বরং সম্পদ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মতো মৌলিক অধিকারগুলোর প্রতি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বৈষম্যহীন ও সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করা, তাদের উপহাস না করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো একটি মানবিক দায়িত্ব।বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র রয়েছে। ৪৫টি ভ্রাম্যমান থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরণের থেরাপির সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা রয়েছে।
বরিশাল জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ.কে.এম. আখতারুজ্জামান তালুকদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মুন্সী মুবিনুল হক।
অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা অধিদফতর বরিশাল, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসমূহ ও কারিতাস এর সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল ও ৬ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।


