
স্টাফ রিপোর্টার :: বরিশাল নগরীর বিউটি সিনেমা হলের জমি সহ সৈয়দ আশিক চৌধুরীর পারিবারিক সম্পত্তি জাল দলিল তৈরি করে দখলের চেষ্টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দায়েরকৃত মামলার চার্জশিট প্রদান করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিএমপির গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো: ছগির হোসেন চলিত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সাক্ষীর জবানবন্দি, রেজিস্ট্রার অফিসের প্রাপ্ত তথ্য, সহকারী কমিশনার ভূমি কর্তৃক প্রতিবেদন সহ ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচিপত্র উল্লেখ করে ওই আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- নগরীর দক্ষিণ পলাশপুর এলাকার কাদের মল্লিকের ছেলে কালাম মল্লিক (৪৮) ও কালাম মল্লিকের ছেলে রাকিব মল্লিক (৩০), একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (৪৩) ও মিজানুরের বোন মোসা: পারুল বেগম। তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ সনের ৪/৫/১৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর ৩৮.৫০ শতাংশ জমি আত্মসাৎ করার জন্য মিথ্যা ও ভ্রান্ত দলিল প্রস্তুত করেছিল।
দায়েরকৃত মামলার বাদি হলেন- নগরীর ৯ নং ওয়ার্ডস্থ বিউটি রোডের বাসিন্দা সৈয়দ জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে সৈয়দ আশিক চৌধুরী। তিনি ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৪ আসামির বিরুদ্ধে জাল দলিল তৈরি করে তার এবং তাদের পারিবারিক সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করার অভিযোগ এনে ওই আদালতে ভূমি আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিরোধীয় মোট ৩৮.৫০ শতাংশ জমির মধ্যে হতে জে.এল নং ৪৯, এস, এ খতিয়ান নং ১৫, ১৬, ১৭, ৪৩, ৪৭, ৫০, ৩১৭, তথা জমাখারিজ খতিয়ান নং ৬৩৭ মোট জমি ৫১.৭০ শতাংশ, এস.এ ৬০৪ নং খতিয়ানের মোট জমি ১৩.২০ শতাংশ জমিতে বাদী ভোগ দখলে রয়েছে। বাকি ৩৮.৫০ শতক জমি ১ নং বিবাদী কালাম মল্লিক অন্যান্য বিবাদীদের সহায়তায় টিন সেড দোকান ও ৩০৩ তলা বিশিষ্ট ছাদ উত্তোলন করে ভোগ দখলে আছে। যার প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল জেলা রেজিস্টার বরাবরে দালিল নং- ১৮১৮/১১, ৪৯৭০/১১ এর দালিল সমূহের দাতা গ্রহীতার তফশিল সম্পত্তির পরিমাণ ও পরিচয় সহ তথ্যাদি পাওয়ার আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা ভূমি অফিস হতে বর্ণিত দলিলের দাতা ও গ্রহীতার তথ্যাদি প্রেরণ করেন।
উক্ত কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, খতিয়ান নং- ১২৯৩, যার মোট জমি ৩৮.৫০ শতাংশ জমি মামলার বাদী সৈয়দ আশিক চৌধুরী ও তার বোন কামরুন্নাহার চৌধুরী এর নামে নামজারিকৃত এবং ইউপি ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা তারেক হোসেন এই মর্মে প্রতিবেদন প্রদান করেন যে, উক্ত বিবাদীদের নামে সরবরাহকৃত খতিয়ানের সাথে রেকর্ডিয় খতিয়ানের কোনো মিল পাওয়া যায় না। মূলত, গত ১৯৫৫ সালে দলিল নং ৫৮০৯ মূলে নুর করিমুন্নেছা, অমীয় কুমার রায় গং-এর নিকট হতে সাফ কবলা দলিল মূলে বিরোধীয় সম্পত্তি ক্রয় করেন এবং ২০০৭ সালে নুর করিমুন্নেছা হেবা দলিলে প্রদান করেন তার ছেলে সৈয়দ জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরীকে। সর্বশেষে জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরী তার ছেলে অর্থাৎ মামলার বাদী সৈয়দ আশিক চৌধুরী কে দলিল ৩৯৭৪, গত ১৫/০৩/২০২২ তারিখে হেবা দালিল প্রদান করেন। সম্পত্তির মালিক সূত্রোক্ত মামলার বাদী সৈয়দ আশিক চৌধুরী এবং তার বোন কামরুনাহার চৌধুরী সম্পত্তি দায়েরকৃত মামলার ১ নং বিবাদী অন্যান্য বিবাদীদের সহায়তায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা দলিল তৈরি করে উক্ত জমি আত্মসাতের চেষ্টা করছিল


