
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিআরটিসি অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চালাচ্ছে ম্যানেজার জুলফিকারের দুর্নীতি।
বরিশাল বিআরটিসি অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া। তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে চুষে চুষে খাচ্ছে ম্যানেজার জুলফিকার।
কথায় কথায় কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালজ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এলাকার লোক বলে জাহির করা। চালক কন্ডাকটরদের জিম্মি করে চোঙ্গির নামে চাদাবাজী করা। ভুয়া ভাউচার তৈরি করে টাকা পকেটে ভরা ।
বরিশাল ডিপোর আওতাধীন খুলনা টু পাথরঘাটা রুটের চলাচলরত বাসের বডি চাকা ইঞ্জিন খুলে বিক্রির সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছে বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপোর ম্যানেজার জুলফিকার। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিআরটিসি ঢাকা হেড অফিস চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল বাস ডিপোতে বদলি করেন। আর যোগদান করেই এসব অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপোর কর্মচারী, চালক ও কন্ডাকটররা। এখানেই শেষ নয় এই নব্য যোগদানকারী জুলফিকারের সে ইতিমধ্যে বাস ডিপোতে গড়ে তুলেছে এক অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য।
বিগত আলীগ সরকারের সময় কর্মচারীদের নিয়ে তৈরি করেছে এক বাহিনী। সে এতোটাই বেপারোয়া হয়েগেছে কোন সংবাদ কর্মী ডিপোতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলেই হতে হয় নাজেহাল। সম্প্রতি বরিশাল আর টিভির সংবাদ কর্মী বাস ডিপোতে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় তখন তাকে জুলফিকার সহ তার বাহিনী দ্বারা হেনেস্তার শীকার হতে হয়। পরে সমযোতার মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেন বলে বিআরটিসির বাস ডিপোর সূত্র নিশ্চিত করছে।
বিআরটিসি বাস ডিপো সূত্র জানান,টিআই পদ থেকে গত ১১ বরিশাল বাস ডিপোতে আলীগ পন্থী জুলফিকার ম্যানেজার অপারেশন পদে যোগদান করেন। এরপরই ডিপো শৃঙ্খলার নামে শুরু করেন প্রভাব বিস্তার। এতে তিনি কর্মচারী থেকে শুরু করে চালক কন্ডাকটর সাথে নিয়মিত খারাপ ব্যবহারে পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। গালিগালাজ তার শেষ নয় সে চেয়ারম্যান নাম ভাঙ্গিয়ে ডিপোতে শুরু করেছেন চোঙ্গির নামে বাসের ট্রিপ প্রতি চাঁদাবাজি। নাম প্রকাশ না শর্তে একাধিক কর্মচারী চালকরা অভিযোগ করে বলেন বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ৫৩ টি বাস যাত্রী সেবা প্রদান করছে। চালক কন্ডাকটর অভিযোগ করে জানান প্রতি রুটে বাস যাত্রী সেবা প্রদান করে ডিপোতে বাস ফিরে আসে।
গেট দিয়ে বাস ডিপোতে ঢুকলেই জবের নামে ৫০০ টাকা দিয়ে ফোরম্যান দপ্তরে। এছাড়াও রাজস্ব দিতে প্রতি ট্রিপে। আর রাজস্ব প্রদান করার সময় হিসাব বিভাগের ফারুক ম্যানেজার ও চেয়ারম্যানের নাম করে ট্রিপ প্রতি ১০০০ টাকা আদায় করছে। অভিযোগ রয়েছে এই টাকা প্রদান না করলে চালক ও কন্ডাকটর নেমে আসে নানা নির্যাতনের খোরাগ। এতে ক্ষ্যান্ত নন টিআই জুলফিকার সে নিজেকে জাহির করতে আরেক পদ বেচে নিয়েছেন। জুলফিকারের বাড়ী বগুড়া হওয়ায় সে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে ডিপোতে চালিয়ে আসছে বেপরোয়া কার্যক্রম। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাস ডিপোর সকলে।
এদিকে বিআরটিসি বাস ডিপোর একাধিক সূত্র নিশ্চিত করছে ২০১১ সনে আলীগ সরকারের সময় আলীগের প্যাডে জুলফিকার এটিও পদে বিআরটিসি তে চাকুরী নেয়। চাকুরিতে যোগদান পর থেকে যে ডিপোতে কর্তব্য পালন করছে যে ডিপোতে সেই ডিপোতে চালিয়েছে আলীগের প্রভাব। বিআরটিসিতে চাউর রয়েছে বিগত আলীগ সরকারের সময় এই জুলফিকার তার ফেইসবুকে পলাতল মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে তোলা ছবি আপলোড করে নিজেকে আলীগের জাহির করতো। আর যে ডিপোতে কর্তব্য পালন করতো সেখানে ওবায়দুল কাদেরের নাম ভাঙ্গিয়ে বেপরোয়া কার্যক্রম চালাতো।
সূত্র আরাও জানায় ডিপোর বিভিন্ন রুটে চলাচলরত বাস মেরামতের নামে যন্ত্রাংশ ক্রয়ের নামে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে টাকা পকেটে পুড়ছে। এছাড়াও সে নিজের মনপুত কোম্পানি থেকে রিসাইকল টায়ার ক্রয় করছে। যা অন্য কোম্পানির রিসাইকল টায়ার দর অনেক বেশি । কম টাকায় নিম্ন মানের টায়ার ক্রয় করে দর বেশি দেখিয়ে বাকী টাকা পকেটে পুড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই জুলফিকারের বিরুদ্ধে। এদিকে বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপোর আওতাধীন খুলনা টু পাথরঘাটা রুটের চলাচলরত বাস ঢাকা মেট্রো ব – ২১৯৪ চাকা বডি ও ইঞ্জিন খুলে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রকাশ হলে ঐ রাতের আধারে খুলনা সোনাডাঙা থেকে খুলনা বিআরটিসি বাস ডিপোতে নিয়ে আসে।
সংশ্লিষ্ট বিষয় জানতে ম্যানেজার জুলফিকারের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন কোন চোঙ্গি বা চাঁদা নেয়না। এই প্রতিবেদককে অফিসে আসার কথা বলে মুঠো ফোন কেটে দেয়। এরপর আর মুঠোফোন রিসিভ করেনি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন এর (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ মোল্লা জানান আনিত অভিযোগ প্রমান পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।


