নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সদর আসনের এমপি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, ভোলার গ্যাস বরিশালে সরবরাহের কার্যক্রম আগামী ৬ মাসের মধ্যে শুরু হবে। গ্যাস সরবরাহ হলে বরিশালে শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে। যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরি হবে, কমবে বেকারত্ব। এছাড়া সদর উপজেলার লামচড়িতে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন বাস্তবায়িত হলে সেখানে ১০০ থেকে ২০০ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।
শনিবার বরিশালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নৌকা মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব সম্ভবনার কথা জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন বিগত দিনে বরিশালের উন্নয়ন হয়নি। খোকন সেরনিয়াবাতের দিকে বরিশালের মানুষ তাকিয়ে আছে। আমরা আর পিছিয়ে পড়তে চাই না। ছবি তুলে রাখুন, ২ বছর পরে উন্নয়নের ছোঁয়ায় বরিশাল পাল্টে যাবে। বরিশাল এক স্বপ্নের নগরী হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আহবান জানাবো নির্বাচন শেষ। আসুন বরিশালের উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করি। এখানে বিভাজন রাখা যাবে না। কেউ যেনো নিজেকে নেতা মনে না করি। আমরা কেউ দক্ষিণাঞ্চলের সিংহ পুরুষ না।’
নৌকা মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দুপুর থেকেই নগরের ৩০টি ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। বিকেল ৪টার মধ্যে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের লোকারণ্য হয়ে যায়। একপর্যায়ে মেয়র খোকন ফুলেল শুভেচ্ছায় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে বরণ করে নেন।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম দলের মহানগর কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি রাখেন।
কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং মেয়র খোকনের মার্কা ছিল নৌকা। কিন্তু বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ ছিল ট্রাকের সমর্থক। নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় মহানগর আওয়ামী লীগ অনতিবিলম্বে ভেঙে দেওয়া দরকার।’
শনিবার বিকেলে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিদ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বা তাদের কোনো অনুসারী ছিলেন না।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র খোকন বলেন, ‘বরিশালবাসী জাগ্রত হয়েছে। তাই নতুন বরিশাল গড়ার অঙ্গীকার আমাদের। প্রধানমন্ত্রী ৮০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। আমরা দুইজনে মিলে কাজ করে সুন্দর বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলব।’
তিনি আরও বলেন, ‘নগরে আর দাঙ্গা হাঙ্গামা দেখতে চাই না। খাল খনন শুরু হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে রাস্তাঘাটের কাজ শুরু হবে।’
তিনি নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আস্থা রাখুন, নাগরিকদের উন্নত নগরের সেবা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাভোকেট বলরাম পোদ্দার, মেয়র পত্নী লুনা আব্দুল্লাহ, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ নেতা কে বি এস আহমদ কবির, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম, রেজাউল হক হারুন, শাজাহান হাওলাদার, লস্কর নুরুল হক এবং নিজামুল ইসলাম নিজাম প্রমুখ।’