লাইফস্টাইল ডেস্ক :: মা-বাবার যেসব ভুলে সন্তান রাগী ও জেদি হয়ে ওঠে
সন্তান লালন পালন করা সহজ কাজ নয়। তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে কখনো কখনো কঠোর হতে হয় আবার কখনো ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করতে হয়।
তবে কর্মব্যস্ত এ জীবনে বেশিরভাগ বাবা-মা- ছোটখাটো যেকোন বিষয় নিয়ে এই সন্তানের উপর রেগে চিৎকার করেন কিংবা বকাবকি করেন।
জানলে অবাক হবেন আপনি যতই ভালোবাসেন না কেন আপনার চিৎকার চেঁচামেচি ও বকাবকি শিশুর মনে রাগ ও জেদের সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার নিজের ভুলগুলো মেনে নেওয়া জরুরী। না হলে যত দিন যাবে শিশু আরও রাগী ও জেদী হয়ে উঠবে। আর আপনার শাসনেও কাজ হবে না তাই যত দ্রুত সম্ভব সেই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন আনা জরুরী।
চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার কোন কোন ভুলে শিশু আরও জেদি হয়ে ওঠে ও কিভাবে তার সমাধান করবেন-
শিশু নির্যাতন: আপনি যদি সন্তানের সঙ্গে নম্র গলায় কথা না বলেন সব সময় বকাবকি বা চিৎকার করেন তাহলে সন্তান ও আপনার ব্যবহার অনুকরণ করার চেষ্টা করবে। একই সাথে আপনার রাগ ও খুব শিশু মনে ও রাগের জন্ম দেবে। এভাবে ধীরে ধীরে শিশু অবাধ্য ও জেদী হয়ে ওঠে। মনে রাখবেন আপনি যদি সম্মানের সঙ্গে কথা বলেন তাহলে সন্তান ও আপনার কাছে থেকে ইতিবাচক আচরণ শিখবেমেজাজ শৃঙ্খলা: আপনার সন্তান যদি রাগান্বিত হয় তবে কিছুক্ষণ পরেই তাকে শৃঙ্খলা সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে। আপনি যদি তাকে খারাপ মেজাজে কিছু শেখান তবে সে আরো বেশি বিরক্ত হবে। এছাড়া মনে রাখবেন আপনি যদি রাগান্বিত হন তবে প্রথমে শান্ত হন ও পরে তাকে শৃঙ্খলার জ্ঞান দিন।
একঘেয়েমি: আপনি যদি সারাদিন শিশুর সামনে একই বিষয় নিয়ে কথা বলেন তাহলে সে বিরক্ত হয়ে যাবে ও আরও জেদি হয়ে উঠবে। তাই একই বিষয় নিয়ে শিশুকে বারবার জেরা করবেন না তাহলে তাদের মেজাজ নষ্ট হতে পারে।বাড়ির পরিবেশ: যদি আপনার বাড়িতে নেতিবাচক পরিবেশ থাকে ও সারাক্ষণ মারামারি ঝগড়া বা উত্তেজনা দেখা দেয় তাহলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব শিশুর ওপর পড়ে। এ ধরনের শিশুরা ঘরের বাইরে ও রাগ করে থাকে এমনকি মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারে।
বাবা মায়ের আচরণ: যদি মা-বাবা একে অপরের সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বলে ও শিশুদের সামনে একে অপরের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাহলে শিশুর ব্যক্তিত্ব ভালো প্রভাব পড়ে। যখন কোন অভিভাবক তাদের সন্তানদের একে অপরের সঙ্গে তুলনা করে তখন সন্তানের মনে রাগ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
নেতিবাচক কথা বলা: আপনি যদি সব সময় সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাহলে শিশুর মনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে শিশু ও সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।