নিজস্ব প্রতিবেদক :: আমতলীতে ঝুঁকিপূর্ণ ১৮টি সেতু, সংস্কারের দাবি জনগণের
বরগুনার আমতলীতে হলদিয়া ইউনিয়নে ১৮টি সেতু নির্মাণের পর সংস্কার না করায় সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুগুলোয় দেখা দিয়েছে ফাটল। বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই সেতু দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। সেতুগুলো হালকা যান প্রকল্পের আওতায় ২০০২ থেকে ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয়। দ্রুত সেতুগুলো সংস্কার কিংবা পুনরায় নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানান ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা।
জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো হলো হলদিয়া হাট সেতু, রাড়ি বাড়ি, আউয়াল নগর, বাহাদুর তালুকদার বাড়ি সলগ্ন, মুসুল্লী বাড়ির, গাজীপুর কাঠালিয়া সংযোগ সেতু, সোনাগাজা, আলতাফ তালুকদার বাড়ি, ৬ নম্বর ওর্য়াড সিকদার বাড়ি সলগ্ন সেতু, দক্ষিন তক্তাবুনিয়া রাহিমিয়া দাখিল মাদরাসা সলগ্ন সেতু, টেপুরার মল্লিক বাড়ি, জেবিসনের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সলগ্ন সেতু, মোল্লা বাড়ি সলগ্ন সেতু, পূর্বচিলা আশিখার খাল, কাপালির স্লুইজ সলগ্ন সেতু, কালু বিশ্বাস বাড়ি সলগ্ন সেতু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জেন্নাত মিয়ার বাড়ি, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন পশ্চিম সোনা উঠা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন আকন বাড়ি সলগ্ন সেতু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন মেম্বর বাড়ি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডেও মেলকার বাড়ি সলগ্ন সেতু। এই সেতু গুলোর মধ্যে মোল্লা বাড়ি, জেবিসনের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সলগ্ন সেতু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জেন্নাত মিয়ার বাড়ি, ও টেপুরার মল্লিক বাড়ির সামনের সেতু একেবারে ধ্বসে পড়েছে। এসব এলাকার জনসাধারণ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুগুলোর অনেক জায়গায় দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে। পিলারের আস্তর খসে বের হয়ে গেছে, ভেতরের রডও। আবার সেতুগুলো এতটাই সরু যে পাশাপাশি দুটি অটোরিকশাও যাতায়াত করতে পারে না। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সেতুগুলো বেহাল থাকায় ঝুঁকি নিয়েই ওই ইউনিয়নের স্কুল, কলেজ, মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ লোকজনসহ চলাচল করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, হলদিয়া ইউনিয়নের সেতুগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ। এমন জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে যেভাবে ভারী মালামাল নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে তাতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক জানান, দ্রুত এই সেতুগুলো সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তিনি সেতুগুলো সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানান। আমতলীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ন সেতুগুলো সংস্কার ও নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।