নিজস্ব প্রতিবেদক :: পটুয়াখালীতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কোটি টাকা লোপাট, স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা শাহিন হাওলাদার কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব-৬)।
গ্রেফতারকৃত শাহিন দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দুমকি গ্রামের মোঃ ইউনুস হাওলাদারের ছেলে এবং অপর গ্রেফতারকৃত আসামী মিথিলা মিলি একই এলাকার গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর কন্যা, সম্পর্কে তারা স্বামী ও স্ত্রী।
ডাচ্ বাংলা ব্যাংক পটুয়াখালী অফিসের এরিয়া প্রধান রিপন কুমার দে বাদী হয়ে দুমকি থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করলে সোমবার রাতে র্যাব-৬ খুলনার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামীকে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধীন ফকিরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মূল আসামী ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের দুমকি উপজেলার মাস্টার এজেন্ট মোঃ শাহীন হাওলাদার (৩৫) ও ব্যাংক টেলার মিথিলা মিলি (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের মঙ্গলবার রাতে দুমকি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় সেবা প্রদানের জন্য উপজেলার নতুন বাজারে হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধীকারি আসামী শহীনকে এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করা হয়। গ্রাহকগণের সরলতার সুযোগে ২০১৯ থেকে ২০২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রাহকগণের নিকট থেকে অসামী শাহিন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন তারিখে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি গ্রাহকগণ, লিখিত ভাবে ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং অফিস, পটুয়াখালীতে অভিযোগ দায়ের করেন। টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় এবং ব্যাংকের সুনাম রক্ষর্থে ব্যাংকের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তীতে রিপন কুমার দে, এরিয়া হেড, ডার্চ বাংলা ব্যাংক, বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানায় ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখ একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের পটুয়াখালী এরিয়া প্রধান রিপন কুমার দে বলেন, আসামি শাহীন হাওলাদার ও তার স্ত্রী মিথিলা মিলি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়া রিসিভ দিয়ে কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান ঘটনা সততা স্বীকার করে বলেন, আসামিদেরকে পটুয়াখালী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।