নিজস্ব প্রতিবেদক :: উজিরপুরের সাতলায় ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ।
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি করে চাল দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চাল কম দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গরীব অসহায় দুস্থ উপকারভোগীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সরেজমিনে উজিরপুর উপজেলার ১ নং সাতলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষদের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিতরণের কথা থাকলেও সেখানে দেখা মেলেনি কোনও ট্যাগ অফিসারের।
শুধু তাই নয়, অফিস সহায়ক মোঃ রবিউল নামে একজনকে অঘোষিত ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার সুমন চৌধুরী। নিজেকে ট্যাগ অফিসার দাবী করে অফিস সহকারী রবিউল বলেন এখানে প্রতিজনকে ৯ কেজি ৭ শত গ্রাম চাল দেয়া হচ্ছে।
এমন কি ডিজিটাল কাটায় চাল ওজন করে দেয়ার পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের বালতিতে করে। এদিকে চাল পাওয়া কয়েকজনের চাল পুনরায় কাটায় ওজন করে সেগুলো ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি করে পাওয়া যায়। পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তাদের বালতির চাল ওজন করে ৯ কেজি ৬শ’ গ্রাম করে পাওয়া যায়।
চাল পাওয়া একাধিক ব্যক্তি বলেন, আজ মঙ্গলবার কার্ডের চাল ইউনিয়ন পরিষদে তুলতে আসি। পরে চাল তুলে বাইরে ওজন করে দেখি ১০ কেজি করে দেয়ার কথা থাকলেও ৯ কেজি করে ২ জনের সর্বমোট ১৮ কেজি চাল হয়েছে। তারা চাল ওজন না করে বালতিতে করে চাল দিচ্ছে।
চাল পাওয়া একজন বলেন, সরকার আমাদের জন্য ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিচ্ছে আর তারা ৮ কেজি করে চাল দিচ্ছে, আমরা ২ কেজি করে চাল কেন কম নিব আমাদের ১০ কেজি করে চাল বুঝিয়ে দিক।
সাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আমার ইউনিয়নের মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য যে চাল বরাদ্দ পেয়েছি সে অনুযায়ী চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে আমার এখানে চাল কম দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল দিবে এটাই নিয়ম। কিন্তু কেন চাল কম দেয়া হচ্ছে এ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।