![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিজস্ব প্রতিবেদক :: রুপাতলীর মাফিয়া : তানিয়া বাহিনীর হামলায় ৩ পুলিশ আহত।
আদালতে চলমান মামলার আদেশ অমান্য করে এবং থানায় চলমান তদন্তাধীন মামলার আসামী হবার পরও তানিয়া আক্তার ওরফে মেঘলা বিরোধপূর্ণ জমিতে নির্মাণ কার্যক্রম চালু রেখেছে। ঘটনাস্থলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এই তানিয়া বাহিনীর হামলায় শিকার হয়েছে বরিশাল সদর কোতয়ালী থানার ৩ নারী পুলিশ কনস্টেবল। ৬ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যার পূর্বে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ রুপাতলী গ্যাস্টারবাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার অনুকূলে ওই দিন রাতেই কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
হামলার সময় তানিয়া বাহিনীর দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত দু’জন হলেন, গ্যাস্টারবাইন এলাকার মৃত মামুন হাওলাদারের ছেলে মাইনুল ইসলাম ও আব্দুল জলিলের ছেলে মাহামুদুল হাসান। তানিয়া বাহিনীর হামলায় আহত ৩ নারী পুলিশ হলেন, কনস্টেবল পরিমীতা, সাদিয়া ও শারমিন আক্তার।
উল্লেখ্য, চলমান মাসের ১ ও ২ এপ্রিল একাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকায় ‘ভয়ঙ্কর তানিয়ার তাণ্ডব, রুপাতলীতে ফের সংঘাত’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। প্রতিবেদনে সরেজমিনে পক্ষ-বিপক্ষের বাস্তবচিত্রের তথ্য তুলে ধরা হয়।
জানা গেছে, ওই এলাকায় মৃত্যু ইউনুছ খানের মেয়ে তানিয়া আক্তার এর সাথে জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী ফরাজী বংশের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে পক্ষ-বিপক্ষের মামলা চলমান থাকলেও আইন অমান্য করে তানিয়া বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি পরিচয় দিয়ে এলাকায় নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এমনকি আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে দেয়াল নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে। বিপক্ষ বাঁধা দেয়। খবর পেয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় তানিয়া বাহিনী।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল-বারী জানান, তানিয়া ও শহিদুল ফরাজীদের সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছে। তাদের মামলাও চলমান রয়েছে। হঠাৎ ৬ এপ্রিল মুঠোফোনে তাদের মারমুখী অবস্থান জানতে পেরে মোবাইল টিম নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেই তানিয়া বাহিনী হামলা শুরু করে। এমতাবস্থায় সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ায় তানিয়াকে নারী পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার করতে চাইলে তানিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে ৩ নারী পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতির অবনতি হলে কন্ট্রোল রুম থেকে আরো নারী পুলিশ সদস্যদের ডেকে নেয়া হয়।
এলাকার কয়েক বাসিন্দা জানান, তানিয়া আক্তার ওরফে মেঘলা এলাকায় এক আতংকের নাম। জমি দখলসহ নানান অপকর্মে জড়িত সে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও মানছে না তানিয়া ওরফে মেঘলা।
![](https://ajkercrimetimes.com/wp-content/uploads/2023/11/BestFarma-213x300.jpeg)