ঢাকাবুধবার , ১০ জুলাই ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে ৬৫ বছরের বৃদ্ধের লালসার শিকার শিশু শিক্ষার্থী     

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ১০, ২০২৪ ৪:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার :: বরিশালে ৬৫ বছরের বৃদ্ধের লালসার শিকার শিশু শিক্ষার্থী

নলছিটির অনুরাগ বাজার জামে মসজিদের ঈমাম ক্বারী আলী হায়দার এর বিরূদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা হয় গত ২২ জুন। এরপর থেকে সাময়িক গাঁ ঢাকা দেয় আলী হায়দার। কিছুদিন পরে কয়েকজন প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে বেরিয়ে ঘোরাফেরা শুরু করে এবং ভুক্তভোগী ও বাদীকে উল্টো হুমকি ধামকি দিতে থাকে নানান মাধ্যমে।

দিনে দুপুরে নিজ ঘরে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় এতদিনেও সে গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তারা বলছেন, এই লোক ঈমাম নামের কলঙ্ক। তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার। যাতে ভবিষ্যতে সরল বিশ্বাসে আসা মানুষদের কেউ আর ধোকা দিতে সাহস না পায়। অভিযুক্ত আলী হায়দার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা মমিন উদ্দিন বয়াতির ছেলে। তার বিরূদ্ধে নলছিটি থানায় মামলা নং ৮, ২১/৬/২৪ইং।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ক্বারী আলী হায়দারের বাসায় গিয়ে তার কাছে কোরআন শরীফ পড়তো ভুক্তভোগী সুমী (ছদ্ম নাম)। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জুন সকাল সাড়ে ৬টায় তার বাসায় কোরআন শরীফ পড়তে যায়। সকাল বেলা একা পেয়ে কোরআন পড়তে আসা সুমী (ছদ্মনাম)কে শ্লীলতা হানী করে ও ধর্ষণচেষ্টা চালায় আলী হায়দার। এক পর্যায়ে সুমী ডাকচিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা ছুটে আসলে সটকে পড়ে হায়দার। এর পরে সুমীর ফুপু বাদী হয়ে নলছিটি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শ্লীলতা হানি ও ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে অবশেষে জামিন না নিয়েই প্রকাশ্যে আসে হায়দার। এখন তিনি যেন সর্বেসর্বা। উল্টো ভুক্তভোগী ও বাদী পক্ষ এখন টেনশনে পড়ে গেছেন। এমন একটি চাঞ্চল্যকর অঘটন ঘটানোর পড়েও একদল অসাধু লোক তার পক্ষে দাড়ানোয় ন্যায় বিচার যেন মুখ থুবরে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ক্বারী আলী হায়দার বলেন, অভিযোগকারীর ভাতিজিসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী আমার স্ত্রীর কাছে প্রাইভেট পড়তে আসতো। তারা দুষ্টামি করার কারণে আমি তাদের একটু শাসন করি। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। তাছাড়া কিছু লোক আমাকে মসজিদ থেকে বিতারিত করতে এই ষড়যন্ত্র করতেছে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী জানান, মামলাটি তদন্তনাধীন আছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।