নিজস্ব প্রতিবেদক :: ছাত্ররাজনীতি রেখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতি বন্ধের দাবি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। তারা ছাত্ররাজনীতির চালু থাকার কথা জানান। তবে সকল দলের একটা অঙ্গিকার থাকবে। যদি কোন রাজনৈতিক দল বিশৃঙ্খলা (কোনরকম চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ,কক্ষ দখল, সিট দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন) করলে সকল দল ও সাধারণ শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের সমন্বয়ে প্রতিরোধ করবে। কারো ব্যাপারে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে বহিষ্কার করারও কথা বলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।
গত ৯ আগস্ট শনিবারে এ দাবির পাশাপাশি মোট ১৫ টি দাবি দিয়ে বিবৃতি দেন তারা।আজ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক এইচ এম এনামুল হক।
বিবৃতিতে বলেন, ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের সুস্থতা ও নিহত শিক্ষার্থীদের শহিদী মর্যাদা কামনা করেছেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংকট নিরসনে এবং শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপাচার্যের নিকট দাবি তোলেন।
অন্যান্য দাবিগুলো হল- ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকতে হবে (নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা, প্রেজেন্টেশন, ডেমো ক্লাস, এবং ভাইভা এর মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে)। শিক্ষার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতি ৬ মাস পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট এর আয়-ব্যয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকাশ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামে গ্রহণযোগ্য অরাজনৈতিক ব্যক্তি যেমন শিক্ষাবিদ, গবেষকদের আমন্ত্রণ করতে হবে। কোনো প্রকার রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রধান অতিথি হতে পারবে না। সকল ধর্মীয় প্রোগ্রাম আয়োজনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বা যে কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে ইসলামিক স্কলারদের মাধ্যমে আয়োজন করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও ন্যূনতম ২০০ একর জমি অধিগ্রহন করতে হবে। ইসলামের ইতিহাস ও ইসলামিক স্টাডিস ডিপার্টমেন্ট চালু করতে হবে। শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করতে হবে।
লং রুটে (পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, গৌরনদী, উজিরপুর) বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। সেশন জট কমানোর জন্য সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে সেমিস্টার ও ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের নীতিমালা তৈরী করতে হবে। ক্লাসরুম সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করতে হবে।হিজাব ও ধর্মীয় পোশাকের কারনে কোনো শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদশর্ন করে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। সকল সংকট নিরসন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে হবে।