নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে স্কুল ভবনের উপর পড়ে থাকা গাছ অপ.সারণ হয়নি ৮ মাসেও : ঝুঁ.কিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ঘুর্নিঝড় রিমালে বরিশাল সদর উপজেলার ৪৯ নং দিনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওপর উপড়ে পড়া গাছ ৮ মাসেও সরানো হয়নি। এতে করে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের ১৮০ শিশু শিক্ষার্থী ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় শিক্ষক এবং অভিভাবকরাও সব সময় আতংকে থাকেন। কারণ যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ অবস্থায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সহ সংশ্লিষ্টরা গাছটি অপসারণে শত চেষ্টা করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। বন বিভাগ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দাবি গাছটি অপসারণের সব প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। দ্রুত বন বিভাগকে নিয়ে গাছটি অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন, ঘুর্নিঝড় রিমালে স্কুল ভবনের পাশের বিশালাকার কৃষ্ণচুড়া গাছটি উপড়ে পড়ে ৮ মাস আগে। গাছটি বিদ্যালয়ে প্রবেশদ্বারের ছাউনির ওপর পড়ে ঝূঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়ে ১৮০ শিশু শিক্ষার্থী আছে। তারা এই গাছটির কারণে প্রায়ই আঘাত পাচ্ছে। বড় ধরণের দুর্ঘটনার শংকা নিয়ে প্রতিদিন ক্লাস নিতে হচ্ছে। দ্রুত গাছটি অপসারণ করা দরকার।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য সাদিক হোসাইন বলেন, ৮ মাসের অধিক সময় ধরে গাছটির কারণে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ৫/৬ মাসের বেশি সময় ধরে গাছটি সরানোর জন্য দৌঁড়ঝাপ করছেন উপজেলা শিক্ষা অফিস ও বনবিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে তাও একমাস হয়ে গেল। একাধিকবার সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি। গাছটির কারণে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফয়সল জামিল বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। গাছটি সরানোর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শীঘ্রই উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, বন বিভাগের প্রতিনিধি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসের সমন্বয়ে গাছটি সরানোর চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বন বিভাগ দরপত্র আহবান করবে গাছটি অপসারণের জন্য। সরকারি গাছ হওয়ায় সম্পূর্ন কাজটি একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হচ্ছে। এজন্য কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।