নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে আ.লীগ-জাপার ১৫৩ জনের নামে মা.মলা : অজ্ঞাত আর ১৫০ আ.সামি শী.র্ষ নেতারা।
বরিশালে ছয় মাস আগের ঘটনায় বিস্ফোরক মামলা হয়েছে। আসামি করেছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের। বাদ যাননি সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও।
গত বুধবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ১৫৩ জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ ব্যক্তিকে আসামি করেন সুলতান খান। বাদী নিজেকে ‘বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম সাংবাদিক ফোরাম’– এর আহ্বায়ক পরিচয় দিয়েছেন। তবে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, এ নামে কোনো সাংবাদিক সংগঠনের অস্তিত্ব নেই।
সুলতানের এক আত্মীয় জানান, এলাকায় জামায়াত নেতা পরিচয় দেন সুলতান। নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। বাড়ির সামনে পাঁচটি দোকান ভাড়া দিয়ে চলেন।
বরিশাল মহানগর জামায়াতের মিডিয়া বিভাগের মুখপাত্র শাহ আলম জানান, তাদের দলের সঙ্গে সুলতানের কোনো সম্পর্ক নেই। আগে তিনি শিবির করতেন। মামলার সঙ্গে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও জানান তিনি।
সুলতানের মামলার বর্ণিত ঘটনা গত বছর ১৭ জুলাই বিকেলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আসামিরা হামলা চালালে চোখে গুলিবিদ্ধ হন রাকিবুল্লাহ আহসান। সুলতান তাঁর খালাতো ভাই।
আসামিদের মধ্যে অন্যতম হলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সাবেক এমপি পঙ্কজ নাথ, বলরাম পোদ্দার, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার, তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না আমিন, সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহ।
১ নম্বর সাক্ষী রাকিবুল্লাহ আহসানের দেওয়া ঠিকানায় তাঁকে পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে জানতে সুলতানের বাসায় গেলে গলির মধ্যে পাওয়া যায়। পরিচয় জানার পর প্রতিবেদককে ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দেন, যাতে লেখা বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক টাইমস অব বাংলাদেশ।
মামলার বিষয়ে সুলতান বলেন, ‘মামলা আরও হবে। বিএনপি যা করেছে ঠিক করেনি। ঢালাও মামলা করেছে।’ রাকিবুল্লাহর চিকিৎসার জন্য মামলা করতে দেরি হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
আসামি কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, গত বছর ২৭ এপ্রিল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আমার ডান পায়ের হাড় তিন টুকরো হয়। এখনও চলতে ক্রাচে ভর করা লাগছে। ১৭ জুলাই কীভাবে হামলা করলাম, বাদীই ভালো জানেন।
বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরেফিন তুষার বলেন, ‘সুলতানকে আমরা চিনি না। বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক ফোরামের নামও প্রথম শুনলাম।’
আওয়ামী লীগ নেতা কাইউম খান কায়সার বলেন, ‘আলামত জব্দ ছাড়া বিস্ফোরক আইনে মামলা হয় না। অভিযোগ এজাহার হিসেবে নেওয়া বৈধ হয়নি।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্তে বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া না গেলে ধারাটি বাদ দেওয়া হবে।’