
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ঈদগাহ লেন, যা স্থানীয়ভাবে জামাই গলি নামে পরিচিত—সেই এলাকার শেষাংশে সরকারি রাস্তা ও খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ইব্রাহিম খান ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, বরিশাল বগুড়া আলেকান্দা মৌজার বিএস খতিয়ান নং ১২৬৩২-এর দাগ নং ৫৮১১৭ থেকে ০.৫৮ শতাংশ জমি কিনে বহুতল ভবন ও দেয়াল নির্মাণ করেছেন তারা। তবে সীমা ছাড়িয়ে সরকারি রেকর্ডীয় খাল (দাগ নং ৫৯৮) এবং রাস্তা (দাগ নং ৫৯৯) জবরদখল করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিন তদন্তেও এর সত্যতা মিলেছে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সমস্যার সমাধানে ২০২১ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরাবর আবেদন জানানো হলেও কোনও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ পথচারী ও যানবাহন চালকদের।
২০২৫ সালের ২৫ মার্চ, বর্তমান সিটি প্রশাসকের কাছে পুনরায় আবেদন করা হয় রাস্তা ও খাল পুনরুদ্ধারের জন্য। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশন ১৮ জুন ২০২৪ তারিখে সাইট পরিমাপ ও সীমারেখা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করে। তবে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ইব্রাহিম খান ব্যস্ততার অজুহাতে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান।
এ ব্যাপারে মো. ইব্রাহিম খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগগুলো ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা’ বলে দাবি করেন।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, প্রভাবশালীদের দাপটে প্রশাসনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যার ফলে সিটি কর্পোরেশনের নীতিমালা ও নগর পরিকল্পনা চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে।
–