
নিউজ ডেস্ক :: ময়মনসিংহের ফুলপুরে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি আসনের অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে ছোটার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেছেন এক যাত্রী। তাঁর ভাষ্য, বাসটি দাঁড়ানো যাত্রী দিয়ে ঠাসাঠাসি অবস্থা ছিল। এ অবস্থায় চালকের এক সহকারী এটি চালাচ্ছিলেন।
শ্যামলী বাংলা পরিবহনের দুর্ঘটনাকবলিত বাসে ময়মনসিংহ শহরে আসছিলেন হালুয়াঘাটের জুগলি এলাকার বাসিন্দা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি থাকায় রাস্তা স্যাঁতসেঁতে ছিল। বেপরোয়া গতিতে আসা মাহিন্দ্রা, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও অদক্ষ চালক দিয়ে বাস চালানোয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমি মনে করেছি।’
ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘ঢাকাগামী বাসটিতে সিটে যাত্রী নিলেও ২০ থেকে ২৫ জন দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর এটি চালাচ্ছিলেন ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণ। তাঁকে দেখে হেলপার (চালকের সহকারী) মনে হয়েছে। যাত্রীতে ঠাসাঠাসি অবস্থায় আমি বাসের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে ছিলাম। ফুলপুরের কাজিয়াকান্দা এলাকায় বাসটি যখন পৌঁছায়, তখন সামনে দ্রুতগতিতে আসছিল মাহিন্দ্রা গাড়িটি। মুহূর্তেই এই দুই গাড়ির সংঘর্ষ হয়। আমি খুব শক্ত করে হাতল ধরে রাখলেও প্রায় তিন হাত সামনের দিকে চলে যাই। যখন নিজে স্থির হই, আমার সামনে কাউকে আর দাঁড়ানো দেখিনি। সবাই আহত অবস্থায় গড়িয়ে নিচের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন দ্রুত বাস থেকে নেমে যাই। আশপাশের লোকজনও ছোটাছুটি করে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাহিন্দ্রাটি ছিটকে বিদ্যুতের খুঁটিতে গিয়ে চ্যাপটা হয়ে যায়। আর বাসটি রাস্তার বিপরীত দিকে একটি গাছে ধাক্কা দিয়ে আটকে যায়।’
এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, বাসটি চালক নাকি তাঁর সহকারী চালাচ্ছিলেন, তা তদন্তে বের হবে। তাঁদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। আপাতত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে ওই দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় কারও গাফিলতি ছিল কি না, তা বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।