
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই সাপের কামড়ে মরছে মানুষ। উজিরপুর হাসপাতালে নেই পর্য়াপ্ত প্রতিষেধক এন্টিভেনম। এছাড়া এন্টিভেনম সংকটে পু্ড়ো উপজেলা জুড়ে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সূত্রে জানা যায়- বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়ে প্রতিষেধক এন্টিভেনম এর অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। যাদের সিংহভাগই গ্রামের মানুষ। কিন্তু এন্টিভেনম রাখা হয় শহরের হাসপাতাল গুলোতে। উপজেলা পর্যায়ে তো নেই এন্টিভেনম। এমনকি অনেক জেলা হাসপাতাল গুলোতেও সহজে মিলছে না এন্টিভেনম। এছাড়া প্রায় হাসপাতালেই নিয়মিত এন্টিভেনম মজুত থাকে না। সামনে আসছে বর্ষাকাল, উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়বে সাপের উপদ্রব। তবে একদিকে প্রস্তুতি কোথাও নেই। অপরদিকে সাপ আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে। ‘সাপ যেখানে কামড়ায়, সেখানে নেই কেন প্রতিষেধক এন্টিভেনম, তা কেন শহরে প্রশ্ন জনমনে? এদিকে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত এন্টিভেনম সরবরাহ ও সাপের কামড় প্রতিরোধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে প্রতিটি এলাকায় সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা জরুরি সচেতন মহলের দাবি।
এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শওকত আলী জানান, আমাদের হাসপাতালে দুই জনের এন্টিভেনম রয়েছে। তবে সব সাপে কাটা রোগীদের এন্টিভেনম প্রয়োজন হয়না। বিষধর সাপে কাটা ৩০ ভাগ রোগীকে এন্টিভেনম প্রতিষেধক দেয়া হয়। ৭০ ভাগ সাপে কাটা রোগীদের এন্টিভেনম প্রয়োজন হয়না। তবে সাপে কাটা রোগীরা আতঙ্কে এন্টিভেনম এর জন্য হাসপাতালে ছুটে আসেন। হাসপাতালে আরো এন্টিভেনম প্রয়োজন হলে তা আনা যাবে।’