
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরগুনার আমতলীতে জলাবদ্ধতায় পাঁচ গ্রামের আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল রক্ষায় প্রভাবশালীদের দখল হওয়া খালের বাঁধ অপসারণ করে স্লুুইসগেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে জলাবদ্ধতায় পচে যাওয়া আউশ ধানের ক্ষেতের হাটু সমান পানিতে নেমে মানববন্ধনে এই দাবি জানান উপজেলার খাগদান গ্রামের কৃষকরা।
কৃষক সুলতান হাওলাদারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন খাকদান গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ প্যাদা, নূর খালেক ও রায়হান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুকুয়া হাটের উত্তর পূর্ব পাশে গড়াই খালের মোহনায় ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সরকার একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেন।
এতে ধীরে ধীরে কচুরিপানা জমে পানি প্রবাহ সমস্যা দেখা দেয়। সেচ সংকটে কষকদের আউশ, আমন, রবিসহ বিভিন ফসল উৎপাদন ব্যহত হয়। কৃষকদের দাবির পরিপ্রক্ষিতে ২০০৫ সালে বিএনপির এমপি মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার বাঁধটি কেটে একটি আইটলেট ও ইনলেট (পানি সরবরাহের সিমেন্টের পাইপ) নির্মাণ করেন। তাঁরা বলেন, আইটলেট ও ইনলেট নির্মাণের পর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হলেও সরকার পরিবর্তনের পর ২০০৯ সালে স্থানীয় প্রভাবশালী আ. ছালাম হাওলাদারের নেতৃত্বে পানি প্রবাহের ইনলেট ও আইটলেটের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে বাঁধের ঢালের প্রায় এক একর খাস জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেন।
এতে পানি প্রবাহের আইটলেট ও ইনলেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পানি প্রবাহ না থাকায় গড়াই খালের দুই পারে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা দূর করতে অবিলম্বে বাঁধ অপসারণ করে স্লুইসগেট নির্মাণের দাবি জানান তারা।
অভিযুক্ত ছালাম হাওলাদার বলেন, আমি গড়াই খালের বাঁধের সরকারি খাস জমি দখল করিনি।
আমার রেকর্ডিয় জমিতে ঘরবাড়ি বানিয়েছি। খালের আইটলেট ও ইনলেটের মুখ বন্ধ করার বিষয়টি কে বা কারা করেছে তা আমার জানা নেই।
আমতলী উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে দখলের সত্যতা পেলে উচ্ছেদ করে আইটলেট এবং ইনলেটের মুখ খুলে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, পানি সরবরাহের আইটলেট কিংবা সরকারী খাস জমি দখলের সুযোগ নেই। তদন্ত করে দখলদারকে উচ্ছেদসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।