ঢাকামঙ্গলবার , ২২ জুলাই ২০২৫

বরিশালে পা*ষ*ণ্ড ছেলের নি*র্যা*তনে বৃদ্ধা মা ও বোন নি*পী*ড়*নের শি*কা*র! থানায় অভি*যোগ দায়ের।

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ২২, ২০২৫ ১১:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: মারধর ও বিবস্ত্র করে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং মিথ্যা মামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে।

বরিশাল নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার বাবুর্চি গলিতে ঘটে গেছে হৃদয়বিদারক ও ন্যক্কারজনক এক ঘটনা। এক বিধবা ও অসহায় মা এবং তার কন্যাকে শারীরিক নির্যাতন করে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেয় তারই পুত্র বাবু এবং পুত্রবধূ।শুধু তাই নয় এই ঘটনার পর মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকিতে  আতঙ্কিত পুরো পরিবার।

ভুক্তভোগী লিপি বেগম একজন বিধবা বৃদ্ধা নারী তার নিজের সংসার চালাতে মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন। অনেক কষ্টে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ছোট একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন তিনি।যেখানে তার ছোট মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন।তাঁর বড় ছেলে মো: বাবুল মৃধা বাবু ও পুত্রবধূ আসমা বেগম দীর্ঘদিন ঢাকায় বসবাসের পর করোনা  মহামারীর সময় বরিশালে ফিরে আসেন এবং সেই ঘরে জোরপূর্বক বসবাস শুরু করেন।

পরবর্তীতে ওই ঘর নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি।বৃদ্ধা মা ও ছোট মেয়েকে ঘর থেকে বের করে দেয় বাবু ও তার স্ত্রী।বাধ্য হয়ে লিপি বেগম অন্যত্র ভাড়া বাসায় চলে যান। এরপরেও শান্তি মেলেনি বৃদ্ধা মহিলা ও তার কন্যার জীবনে।পাষণ্ড ছেলে ও পুত্রবধূর দাবি একে একে চুরি হয়ে যাওয়া দুইটি ভাড়ায় চালিত অটো রিক্সা।গাড়ির দুই  মালিক কে দিতে হবে  অটোরিকশা চুরির ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬৫ হাজার টাকা।এর অর্ধেক টাকা দিতে হবে বৃদ্ধা মাকে।

গত ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে  আলোচনার কথা বলে বৃদ্ধা মা ও মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায় বাবু ও আসমা। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রিক্সা চুরি হওয়ার দাবি কৃত টাকা চায় টাকা দিতে বৃদ্ধ মা অস্বীকার করায় মা ও বোনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে মা ও মেয়ে গালাগালির প্রতিবাদ করায়।শারীরিক ও  মানসিক নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে মারধর করে।প্রাণ রক্ষায় চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে বিবস্ত্র অবস্থায় থাকা বৃদ্ধা মাকে।পরে একজন প্রতিবেশী কাপড় এনে মাকে পরিয়ে দেয় ও রিকশায় উঠিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

ঘটনার সময় বাবু হাতে থাকা রড দিয়ে বোনের মাথায় আঘাত করতে গেলে হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে বোনের হাত ফেটে যায় যাতে রক্তাক্ত জখম হয়।এ সময় আসমা বেগম বোনের গলায় থাকা সোনার চেইনও ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।

ঘটনার পরে বাবু ও তার স্ত্রী বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কখনো বাসায় গিয়ে কখনো মোবাইলে হুমকি দিয়ে দাবীকৃত  টাকা দাবি করে দিতে অস্বীকার করলে। মিথ্যা মামলায়  ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এমনকি থানায় সোনার গয়না চুরির মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়। মিথ্যা ও বৃত্তিহীন অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই পিনাকী। পিনাকী জানান সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উক্ত বিষয় বাবুর কাছে জানতে চাইলে বাবু ফোন কেটে বন্ধ করে রাখেন। তাই তার কোন বক্তব্য দেওয়া গেল না।

এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী বৃদ্ধা মা তার সাথে যে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে তার বিষয়েও তিনি একটি লিখিত অভিযোগ কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করেছেন।

উক্ত ঘটনার বিষয় কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ বলেন ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।