ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ নভেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশালে সাবেক প্রেমিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণ,  পলাতক টিকটকার মারিয়া

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
নভেম্বর ৬, ২০২৫ ১২:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  বরিশালে সাবেক প্রেমিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণ,  পলাতক টিকটকার মারিয়া।

বরিশালের কাশিপুর ইউনিয়নের কলস গ্রামে সাবেক প্রেমিকাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। ঘটনায় আরও একজন নারী অভিযুক্ত—সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটকের আলোচিত টিকটকার মারিয়া আক্তার, যিনি এখনো পলাতক।

ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার নিশী (২৬) থানায় অভিযোগ করেন, অনলাইনের মাধ্যমে লাকুটিয়া এলাকার ফারুকুল ইসলামের ছেলে অন্তু (৩০)-এর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে তিনি জানতে পারেন, অন্তু মাদকাসক্ত এবং নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত—এ কারণে তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করেন। কিন্তু অন্তু বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

এরপর অন্তু তার পরিচিত টিকটকার মারিয়া আক্তার-এর মাধ্যমে নতুনভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করে। মারিয়া নিশীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠান দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাকে উজিরপুর থেকে বের করে আনে। পথিমধ্যে অন্তু ও তার বন্ধু হৃদয় যোগ দেয় এবং তিনজন মিলে নিশীকে জোরপূর্বক বিমানবন্দর থানার কাশিপুর ইউনিয়নের কলস গ্রামে হৃদয়ের বাসায় নিয়ে যায়।

সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং জোরপূর্বক মাদক সেবন করানো হয়। এরপর তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।

৫ নভেম্বর দুপুরে সুযোগ পেয়ে নিশী পালিয়ে বিমানবন্দর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,

ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে (মামলা নং: ০৯/০৫ নভেম্বর ২৫)। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অন্তু ও হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক টিকটকার মারিয়াকে ধরতে অভিযান চলছে।”

ভিকটিমের আত্মীয় তুষার জানান,

> “অন্তুর আগেও বিয়ে হয়েছিল এবং তার সন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের পর মাদকাসক্ত অন্তু নিশীর সঙ্গে সম্পর্ক করে এবং গোপন ভিডিও উদ্ধার করার লক্ষ্যেই এই পরিকল্পিত অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়।”

তবে হৃদয়ের মা জেসমিন বেগম দাবি করেছেন—তার ছেলে নির্দোষ এবং ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেলে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আসামিদের ডিএনএ পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে।

ওসি মামুন আরও বলেন,

> “অভিযুক্তদের কাউকে প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় ছাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে না। ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।”