ঢাকারবিবার , ২৭ জুলাই ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পটুয়াখালী–কুয়াকাটা মহাসড়কের ৭১ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা, দু*র্ভো*গে ১০ লাখ মানুষ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
জুলাই ২৭, ২০২৫ ১০:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিউজ ডেস্ক :: পটুয়াখালী–কুয়াকাটা ৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ক এখন খানাখন্দে ভরা। গত দেড় মাস ধরে টানা বর্ষণে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যান চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চালক ও যাত্রীরা। এই মহাসড়কটি দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১০ লাখ মানুষের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম হওয়ায় দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, ২০০০ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) পটুয়াখালী–কুয়াকাটা মহাসড়কটি নির্মাণ করে। নির্মাণকালেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৮ সালে সওজ সড়কের কিছু স্থানে দায়সারা সংস্কার করে। বর্তমানে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৯১২টি বৈধ যানবাহন চলাচল করে—যার মধ্যে রয়েছে পরিবহন বাস, লোকাল বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার। এছাড়া অন্তত এক হাজার অবৈধ মাহিন্দ্রা, ট্রলি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও চলাচল করে, এমন তথ্য জানিয়েছেন পটুয়াখালী সেতুর টোল ইনচার্জ।

চালকদের অভিযোগ, ভারী বর্ষণে সড়কের পিচ নরম হয়ে গেছে। যানবাহনের চাপে ওই পিচ উঠে গিয়ে সড়কে গর্ত তৈরি হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে এবং চালকদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সমস্যা হচ্ছে। আগে যেখানে পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা যেতে সময় লাগত প্রায় দুই ঘণ্টা, এখন লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা। এতে যাত্রীদের সময় ও ভোগান্তি—দুটোই বেড়েছে।

রবিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের প্রায় প্রতিটি অংশেই ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। অনেক জায়গায় প্রতি ৫০ গজ পরপর গর্ত দেখা গেছে। আমতলী চৌরাস্তা, মানিকঝুড়ি, শাখারিয়া, মহিষকাটা, চুনাখালী, সাহেববাড়ি, আমড়াগাছিয়া, পাটুখালী, বান্দ্রা ও পখিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর সড়ক জুড়ে এসব খানাখন্দ ছড়িয়ে আছে।

যাত্রী মো. জিয়াউদ্দিন জুয়েল মৃধা, এনামুল হক ও রিপা বলেন, সড়কের খারাপ অবস্থার কারণে দুই ঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগছে সাড়ে তিন ঘণ্টা। ঝুঁকি তো থাকছেই। দ্রুত সংস্কার দরকার।’