
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালে ফসলী জমি, বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ মাস পানির তলায়, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকরিপি প্রদান।
প্রয়োজনীয় পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা না করে অপরিকল্পিতভাবে মহাসড়ক ও কালভার্ট নির্মানের কারণে বরিশালের চরকাউয়া এলাকার শতাধিক একর ফসলী জমি বছরের প্রায় ৯ মাস পানির তলায়। পরিত্রাণ পেতে কয়েকশ কৃষক রোববার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকরিপি পেশ করেন। তারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেনের দপ্তরে হাজির হয়ে তাদের দুর্দশার কথা জানান।
জেলা প্রশাসক সবার দুর্দশার কথা শুনে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। তিনি সাথে সাথে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দুপুরের মধ্যে ওই এলাকায় সরেজমিনে পরদির্শন ও পর্যবেক্ষন করার নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন নিজেও রোববার বিকেলে এলাকাটি পরিদর্শন করেন। তিনি এব্যাপারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, খুলনা-মোংলা-বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক নির্মান করতে গিয়ে সড়কটির চরকাউয়া এলাকায় প্রয়োজনীয় কালভার্ট সহ পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরী না করায় বিশাল এলাকায় বৃষ্টির পানি ও পাশের কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানি বছরের ৯ মাসেরও বেশী সময় আটকে থাকছে। ফলে অন্তত ১ হাজার একর জমি বছরের ৯ মাসের বেশী সময় অনাবাদী থাকছে। কয়েক হাজার পরিবার চরম মানবিক বিপর্যয়ের কবলে। এমনকি ৩টি ফসলের দুটিই হারিয়ে অনেক পরিবারেই বছরের বেশীরভাগ সময়ই উনুন জ¦লছেনা।
এমনকি খুলনা-বরিশাল-ভোলা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের বরিশাল-ভোলা অংশের ‘চরকাউয়া-জিরোপয়েন্ট’ এলাকায় পয়:নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত প্রায় ৭০ ফুট দীর্ঘ কালভার্টটির নকশায় ত্রুটির কারণেও বিশাল এলাকায় জলাবদ্ধতা এখন প্রায় সারাবছরের সঙ্গী।