
নিজস্ব প্রতিবেদক :: চাকসু নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএসসহ (সাধারণ সম্পাদক) ২৬টি পদের ২৪টিতে জয় পেয়েছে শিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা। বাকি দুই পদের এক পদে ছাত্রদল, অন্যটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের ফল ঘোষণা করা হয়। চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন এ ফল ঘোষণা করেন।
ফল ঘোষণায় বলা হয়, চাকসুর নির্বাচনে ভিপি (সহসভাপতি) ও জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। এছাড়া এজিএস পদে ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক এবং সহ-খেলাধুলা পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি বিজয়ী হন।
চাকসুর ১৪টি হলের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ইব্রাহিম হোসেন রনি ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২২১টি আর জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৯৫টি। অন্যদিকে এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪১টি।
বুধবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।দ
সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে হল সংসদের ভোট গণনা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসা ও প্রশাসন অনুষদ ভবন, শহীদ হৃদয় তরুয়া অনুষদ ভবন ( নতুন কলা), প্রকৌশল অনুষদ ভবন, বিজ্ঞান অনুষদ ভবন একযোগে ভোট গণনা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ২৭ হাজার ৫১৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। চাকসুতে মোট ভোটার প্রায় ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ১৫৬ জন। নির্বাচনে লড়তে প্রার্থী হন ৯০৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৬ পদে লড়েন ৪১৫ প্রার্থী। একই সঙ্গে ১৪টি হল ও ১টি হোস্টেলে প্রার্থী হন ৪৯৩ জন।