ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৫

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
অক্টোবর ১৬, ২০২৫ ১২:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। আর সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে ইংরেজি বিষয়ে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়। সেইসাথে, রাজধানীর বকশিবাজারের আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি তুলে ধরে বিস্তারিত ফলাফল। এতে দেখা যায় ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬২ শতাংশ।

অন্যান্য বোর্ডের মধ্যে (পাসের হার)— রাজশাহী বোর্ডে ৫৯.৪০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫২.৫৭ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৫৭.৪৯ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫১.৫৪ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৫০.২০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৫১.৮৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৪৮.৮৬ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৬২.৫৭ শতাংশ; মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৫.৬১ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬২.৬৭ শতাংশ।

ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৬৩ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬ হাজার ৯৭ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ২ হাজার ৭০৭, যশোর বোর্ডে ৫ হাজার ৯৯৫ জন, সিলেট বোর্ডে ১ হাজার ৬০২ জন, রাজশাহী বোর্ডে ১০ হাজার ১৩৭ জন, বরিশাল বোর্ডে ১ হাজার ৬৭৪ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৬ হাজার ২৬০ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ২ হাজার ৬৮৪ জন; মাদরাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ জন ও কারিগরি বোর্ডে ১ হাজার ৬১০ জন।

সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠান ৩৪৫টি। তবে ২০২ প্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করেতে পারেনি।

এর আগে, ২০২৪ সালে গড় পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ, যা এবার প্রায় ১৯ শতাংশ কমেছে। আর জিপিএ ফাইভ কমেছে প্রায় ৭৮ হাজার।

অপরদিকে, এবারও পাসের হারে এগিয়ে আছে মেয়েরা। ছেলেদের চেয়ে ৫৯ হাজার ২৩২ জন বেশি নারী শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর জিপিএ ফাইভ বেশি পেয়েছে ৪ হাজার ৯৯১ জন।

উল্লেখ্য, এবারের মতো এত কম পাশের হার ছিল ২০০৫ সালে। এরপর থেকেই বেড়েছে পাসের হার। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারা দেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। আর এবারও ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে।