ঢাকাবুধবার , ২২ অক্টোবর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল নগরীর রসুলপুরে জমজমাট মাদক ব্যবসা, নীরব প্রশাসন

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
অক্টোবর ২২, ২০২৫ ১০:২২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার :: বরিশাল নগরীর রসুলপুর এলাকায় বর্তমানে আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি পরিবার সহ প্রায় দুই ডজন মাদক ব্যবসায়ী। একইসাথে এলাকাজুড়ে পূর্বের তুলনায় বেড়ে গেছে চুরি ও ছিনতাই সহ নানা অপরাধের ঘটনা। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর রসুলপুর সংলগ্ন র্কীতন খোলা নদীর পাড় সহ নিরিবিলি স্থানে বসে মাদক সেবনের আড্ডা। গাজা ও ইয়াবার গন্ধে ভারি হয়ে উঠে এলাকার আকাশ-বাতাস। বিষয়টিতে শঙ্কিত হয়ে উঠেছে স্থানীয় অধিকাংশ বাসিন্দা।

স্থানীয় বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নাসির ও তার স্ত্রী খুকুর নিয়ন্ত্রণে চলছে এলাকার সিংহভাগ মাদক ব্যাবসা। সহযোগিতা রয়েছে খুকুর ছোট বোন সোহাগি ও তার স্বামী রেজা। আর তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় ২২/২৫ জন খুচরা মাদক বিক্রেতা। প্রতিদিনই যারা এলাকাজুড়ে মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে- খুকু-নাসিরের ‘গুরু’ হিসেবে পরিচিত মাহাবুব, টিএনটি, কালু ও তার স্ত্রী জোছনা, পুন্নি, দিপু, টেলি মনির ও তার স্ত্রী নীলুফা, সিরাজ মাস্টার ও তার স্ত্রী নদী, জসিম, কমলা ও মোবাইল চোরের হোতা মাসুদের বিরুদ্ধে। মাসুদের নেতৃত্বে একটি সক্রিয় পকেটমার চক্রও কাজ করছে। কয়েকদিন আগে বিদেশি এক নাগরিকের পকেট থেকে পাসপোর্ট, মোবাইল ও ডলার চুরির অভিযোগে মাসুদকে আটক করা হলেও মুক্ত হয়ে আবারও নেমেছে পুরাতন অপকর্মে।

এছাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন- হৃদয় বিশ্বাস, আমিন, নৌকা কবির, চামিলী, হিরণ, চামিলি, রাকিব, নেপাল মিস্ত্রি, ইয়াবা ডিলার শন্না, সেতু, রিফাত, শাহ, হামিদ, গ্যাসের ব্যবসার আড়ালে কদু মিরাজ ইয়াবার ডিলার চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। আর ফলের ব্যবসার আড়ালে পাইকারি গাঁজা ব্যবসা চালাচ্ছেন রুবেল নামের এক ব্যক্তি। এরমধ্যে অনেকে মাদক সহ আটক ও গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁক ফোকর থেকে বেড়িয়ে আবারো পুরাতন ব্যবসা শুরু করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে মাদক ব্যবসায়ীরা। দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। এ মাদক ব্যবসার সাথে বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন বলে জানান। কারণ অভিযানে আসার আগেই মাদক ব্যবসায়ীদের সচেতন করে দেন ওই অসাধু কর্মকর্তারা। আবার রহস্যজনক ভূমিকায়ও রয়েছে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। কেননা অভিযানের আগেই নির্দিষ্ট স্থান থেকে মাদকসহ অন্যত্র চলে যান ব্যবসায়ীরা। যে কারণে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকে মাদক ব্যবসায়ীরা।