ঢাকাবুধবার , ২২ অক্টোবর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরিশাল বিআরটিসির ম্যানেজারের চোঙ্গীর নামে চলছে চাঁদাবাজি : অসহায় কন্ডাক্টর ও চালকরা, মাসে ১৫ লাখ টাকার চাদাবাজী।

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
অক্টোবর ২২, ২০২৫ ৬:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিআরটিসির ম্যানেজারের চোঙ্গীর নামে চলছে চাঁদাবাজি। অসহায় কন্ডাক্টর ও চালকরা। মাসে ১৫ লাখ টাকার চাদাবাজী।

আলীগের চীরকুটে চাকুরী হওয়া বগুড়ার সেই জুলফিকার এখন বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপো নিয়ন্ত্রণ করছে। এর আগেও কয়েক বছর পূর্বে এই বিআরটিসিতে এটিও পদে থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে এই জুলফিকার বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপোতে এসেছে ব্যাবস্থাপক অপারেশন হিসাবে। মূলত জুলফিকারের পদ হলো টিআই। এই টিআই জুলফিকার যোগদান করে চোঙ্গি নামে চাদাবাজীর মিশনে নেমেছে। আর তার সাথে চাদাবাজীর সহযোগিতা করছে ডিপোর হিসাব বিভাগ।
সূত্র জানায় বরিশাল ঢাকা কুয়াকাটা সহ ৩৭ রুটে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছে প্রায় ৫১ বরিশাল বিআরটিসি বাস।
বাস ডিপো সূত্র জানান নিয়ম রয়েছে ডিপোর কন্ডাকটর ও চালকরা সরকারী নির্ধারিত সেল দিয়ে নিজ নামে বাস পরিচালনা করবে। আর সেই নিয়মানুযায়ী বরিশাল বিআরটিসির বাস ডিপোর কন্ডাক্টর ও চালকরা ৩৭ রুটে বাস পরিচালনা করে যাত্রী সেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু ডিপোর ইউনিট ইনচার্জ, টিআই, ফোরম্যান কন্ডাকটর ও চালকদের জিম্মি করে প্রতি ট্রিপে উৎকোচ আদায় করে আসছেন দীর্ঘ বছর এমন অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশ না শর্তে একাধিক কন্ডাক্টর ও চালকরা অভিযোগ করে জানান প্রায় এক মাস হয়েছে চট্টগ্রাম বাস ডিপো থেকে বদলি হয়ে টিআই জুলফিকার যোগদান করছে বরিশাল বাস ডিপোতে। তিনি যোগদান করার পরের দিন থেকে এক মৌখিক বার্তায় জানিয়েছে প্রতি ট্রিপে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা চোঙি ( চাঁদা) দিতে হবে। তার কথার বেতাই ঘটলে অনত্র বদলি করবে বাস ডিপোর কন্ডাক্টার ও চালকদের।
সূত্র আরাও জানায় বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপোতে চোঙ্গির নামে ম্যানেজার প্রতি ট্রিপ নিচ্ছে ১ থেকে ২ হাজার টাকা, আর এই চোঙ্গি টাকা আদায় করে সেল জমাদানের সময় হিসাব শাখা পাশাপাশি হিসাব শাখাও সেল জমাদানের কাছে থেকে অফিস খরচের নাম করে ১০০ টাকা জোরপূর্বক আদায় করছে। এমনকি নানা উপায়ে কন্ডাকটর ও চালকদের জিম্মি করে এটিও ফোরম্যান ট্রিপে ১০০ টাকা আদায় করেন।
হিসাব করে দেখা যায় বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপোতে প্রতি মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা চোঙ্গির নামে চাদাবাজী করছে ডিপোর ম্যানেজার জুলফিকার।
সূত্র মতে পতিত আলীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১১ এগারো সনে এটিও পদে জুলফিকার বিআরটিসিতে যোগদান করেন। এরপর ২০১৬ সনে জুলফিকার বরিশাল বিআরটিসিতে চাকুরী কালিন সময়ে নানা অনিয়মের জড়িয়ে পড়ে। সেই সাথে ট্রিপ প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা আদায় করে। এই খবর ঢাকা হেড অফিসে জানলে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।
অসহায় কন্ডাকটর ও চালকরা অভিযোগ করে জানান ফ্যাসিস্ট আলীগ সরকারের সময় তাদের উপর জুলুমবাজী করেছে ডিপোর ম্যানেজার, টিআই ফোরম্যান। ছাত্র জনতার আন্দোলনের পরও জুলুমের শিকার হচ্ছে। তাদের ভাস্যমতে জুলুমের শিকার থেকে তারা পরিত্রাণ চায়। ৫ আগষ্টের পর জুলুম কিছুটা কমলেও নতুন ম্যানেজার জুলফিকার যোগদানের পর আরাও জুলুম করছে বলে অভিযোগ করেন।
সংশ্লিষ্ট বিষয় জানতে বরিশাল বিআরটিসি দায়িত্ব থাকা ম্যানেজার মোঃজুলফিকার আলীকে তার মুঠো ফোনে কল দেওয়া হয়। তিনি জানান ট্রিপ প্রতি কোন চোঙ্গি (চাঁদা) নেওয়া হয়না। বিষয়টি তিনি পুরো অস্বীকার করেন।
চোঙ্গি (চাঁদা) নেওয়ার বিষয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ মোল্লা (অতিরিক্ত সচিব) জানান যদি চোঙ্গি (চাঁদা) নেওয়ার প্রমান দিতে পারে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।