ঢাকাশনিবার , ২২ নভেম্বর ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিএনপির বরিশাল বিভাগে সাংগঠনিক দায়িত্বে ফিরলেন বিলকিস জাহান শিরীন

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
নভেম্বর ২২, ২০২৫ ৮:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে দূরে থাকার পর আবারও বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বে ফিরেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেত্রী অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীন। শনিবার (২২ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তার ওপর আরোপিত স্থগিতাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট তার ওপর আরোপিত দলীয় সকল পদ স্থগিতাদেশ বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিরীন পুনরায় বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। দলীয় সূত্র জানায়, স্থগিতাদেশের সময় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেননি, তবে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন।

সাংগঠনিক পুনর্বহালকে বরিশাল বিভাগে বিএনপির কার্যক্রমে নতুন প্রাণ সঞ্চার হিসেবে দেখছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। শিরীনের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দক্ষ নেতৃত্ব এবং সমন্বয় ক্ষমতা স্থানীয় পর্যায়ের দলীয় কার্যক্রমকে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

দলীয় সূত্রের মতে, বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে তার পুনরাগমন জেলা ও মহানগর পর্যায়ে নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করবে, মাঠপর্যায়ের নেতাদের মনোবল বৃদ্ধি করবে এবং দলের কার্যক্রমকে আরও সক্রিয় করবে। স্থানীয় পর্যায়ে এই সিদ্ধান্তকে দলের জন্য নতুন সম্ভাবনার সঙ্কেত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে নির্বাচনী প্রস্তুতি ও দলীয় কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

একই সঙ্গে দলের অভিজ্ঞ নেতারা মনে করছেন, শিরীনের পুনর্বহাল বরিশাল বিভাগে দলের সুসংগঠিত উপস্থিতি ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে। দলের স্থায়ী ও যুগ্ম নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় বাড়িয়ে তিনি স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরে দলের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন যে, শিরীনের নেতৃত্বে বরিশাল বিভাগের বিএনপি কার্যক্রম নতুন শক্তি, গতিশীলতা ও সমন্বয় পাবে। পুনর্বহালের সিদ্ধান্তটি দলের মধ্যে এক ধরনের ইতিবাচক প্রেরণা সৃষ্টির পাশাপাশি আগামী রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং স্থানীয় নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।