ঢাকাবুধবার , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট, সর্বহারা শত শত মানুষ

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪ ১১:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক :: গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট, সর্বহারা শত শত মানুষ।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট আবুল কালাম আজাদ/
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দামপাড়ায় গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাড়ি জমানোর অভিযোগ উঠেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট আবুল কালাম আজাদের (৪৫) বিরুদ্ধে। তিনি বিভিন্ন সময়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা জমা দেওয়ার রসিদগুলোও নিয়ে গেছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের হাতে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ না থাকায় আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

এদিকে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এরিয়া ম্যানেজার মো. ফরিদ হোসেন জানিয়েছেন, তারা অনুসন্ধান করে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছেন। এর বাইরে আরও টাকা আত্মসাৎ হয়ে থাকলে এর কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। এ ঘটনায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে গত ২২ জানুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

 

অভিযুক্ত এজেন্ট আবুল কালাম আজাদ উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য।

ভুক্তভোগী কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এজেন্ট ব্যাংকটির প্রোপাইটর ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ ১১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা সঞ্চয় রাখতেন। পরবর্তীতে কৌশলে জমা দেওয়ার রসিদও টাকা দেওয়ার কথা বলে ফেরত নিয়ে যান। গত ১৯ জানুয়ারি গ্রাহকদের লাভসহ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টো উধাও হয়ে যান আবুল কালাম আজাদ। এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

 

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দামপাড়া ইউনিয়নের এজেন্ট শাখায় স্থানীয় মন্টু রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রইস উদ্দিন ১০ লাখ, রাধানাথ মল্লিক ৬ লাখ, যমুনা খাতুন ৪ লাখ ও সিদ্দিক হোসেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা রেখেছিলেন বলে জানা গেছে।

দামপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, আমিও বিভিন্ন জনের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ছাড়া কয়েকদিন যাবৎ আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। ইউএনও মহোদয় আমাকে বলেছিলেন ওনার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। তবে ১০-১৫ দিন থেকে তার কোনো খোঁজ-খবর পাচ্ছি না।

এরিয়া ম্যানেজার ফরিদ হোসেনও এজেন্ট আবুল কালাম আজাদ পলাতক রয়েছে বলে জানান। তবে কোথায় আছেন, তা তিনিও জানেন না।

 

নিকলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি এ বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। তবে কোর্টে একজন মামলা করেছেন। আমরা অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেব।