নিউজ ডেস্ক :: ঈদের দিন ১৭২ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা : হাসপাতালে ভর্তি ৮২ জন, নিহত ৩।
ঈদের দিন রাজধানী এবং এর আশপাশের এলাকায় প্রায় ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বুধবার (১০ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি জানান।

পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে রাস্তা ফাঁকা থাকায় চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার দিনগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এর মধ্যে ৮২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
বাচ্চু মিয়া আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দুর্ঘটনার খবর সংশ্লিষ্ট থানায় জানিয়েছি। তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।’
এদিকে বুধবার বিকেলে রাধানীর সরদঘাটে লঞ্চের ছিঁড়ে যাওয়া দড়ির আঘাতে একই পরিবারের তিনজনসহ ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) ছুটে আসেন নিহত বেলালের স্ত্রীর ভগ্নিপতি জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বেলাল। স্ত্রী ও মেয়েসহ সেখানেই থাকতেন। ঈদের দিনে লঞ্চে করে পিরোজপুরে যেতে সদরঘাটে এসেছিলেন তারা।
রাজধানীর এই সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।