ঢাকাশনিবার , ১৮ মে ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাউখালীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে আসক্তি বাড়ছে 

ক্রাইম টাইমস রিপোর্ট
মে ১৮, ২০২৪ ৪:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের কাউখালীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইলে দিন দিন আসক্তি বাড়ছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের, পাড়া মহল্লায় মোবাইল ফোনে আসক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ চলাকালীন ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রাস্তার দুপাশে কিংবা নিরালার কোন জায়গায় বসে বন্ধুবান্ধব কিংবা একা একা মোবাইল নিয়ে বিভিন্ন পর্নোগ্রাফিসহ অশ্লীল ছবি দেখে। এ সকল শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে নিরালায় কোন স্থানে গিয়ে এসব অশ্লীল ভিডিও দেখে। অভিভাবকরা করোনা চলাকালীন অনলাইনে ক্লাস করার জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছিলেন। আর এ কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের অভিভাবকরা।

অন্যদিকে বখাটে যুবকসহ একশ্রেণীর হতাশা গ্রস্ত যুবুকরা সারাদিনরাত মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থেকে বিভিন্ন পর্নোগ্রাফি, ভিডিও, গেমস ,তাস ও জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে, বিভিন্ন ক্লাবে, নির্জন স্থানে এক শ্রেণীর শ্রমিক ও দোকানের কর্মচারীরা একত্র হয় বিভিন্ন খেলা বাজি ধরে খেলে। বর্তমানে কিছু সংখ্যক স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়াশোনা ছেড়ে অন্যদিকে বিপথগামী হয়ে পড়েছে।
মাসুম বিল্লাহ নামে এক অভিভাবক বলেন, ছেলেমেয়েরা মোবাইল পেয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে এখন তারা অন্যদিকে ঝুকছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, স্কুল ও কলেজ চলাকালে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, বিভিন্ন সময় হাট বাজার থেকে মোবাইল নিয়ে জুয়া খেলা চলাকালে কিংবা অশ্লীল কোন পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখে যারা তাদের আমরা আইনের আওতায় আনছি এবং আমরা বিভিন্ন স্পটে অভিযান পরিচালনা করি যাতে কোন ছেলেমেয়েরা অকালে ঝরে না যায়। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিশিষ্ট শিক্ষা অনুরাগী আব্দুল লতিফ খসরু বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেশি বেশি করে কাউন্সিলিং করা দরকার, এবং অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুজন সাহা বলেন, যারা দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইল দেখেন তাদের চোখের সমস্যার সহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের ঝুঁকি থাকে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, মোবাইলে আসক্ত হলে একজন শিশু ও যুবকের বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হতে পারে‌। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।