আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: দুই দশক পর ফ্রিজে মিললো নিখোঁজ কিশোরীর খণ্ডিত ম*রদেহ
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য কলোরাডোর একটি বাড়ির ফ্রিজে কয়েক মাস আগে মিলেছিল মানব শরীরের মাথা ও দুই হাত। ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেছে ওই দেহাংশগুলো ১৬ বছরের এক কিশোরীর। প্রায় দুই দশক আগে নিখোঁজ হয়েছিল সে।
গত জানুয়ারির ১২ তারিখ এই দেহাংশগুলোর খোঁজ মেলে গ্র্যান্ড জংশনের নতুন বিক্রি হওয়া এক বাড়ির ফ্রিজে। ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায় দেহাংশগুলো কিশোরী আমান্ডা ওভারস্ট্রিটের, ২০০৫ সাল থেকে যে নিখোঁজ ছিল।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মেসা কাউন্টি শেরিফ অফিস দেহাংশের পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এতে আরো জানানো হয়, শহরের এক বাসিন্দা বিনা পয়সায় ফেলে রাখা ফ্রিজটি নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি। ফ্রিজটি নিজের বাড়ির জন্য আনতে গিয়ে তিনিই এটা আবিষ্কার করেন।
শেরিফ অফিস জানায়, নিখোঁজ হওয়ার সময় আমান্ডার আনুমানিক বয়স ছিল ১৬ বছর। ২০০৫ সালের এপ্রিল থেকে কেউ তাকে দেখেনি। সে ছিল বাড়িটির আগের মালিকের মেয়ে।
আমান্ডা হারিয়ে গেছে এ বিষয়ে তখন পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে—এমন কোনো প্রমাণও মেলেনি। কিশোরীর নিখোঁজ এবং একে ঘিরে ডালপালা মেলা রহস্যভেদে তদন্ত চালানো হচ্ছে বলেও জানায় শেরিফের কার্যালয়।
আমান্ডার মৃত্যু সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহ করতে মেসা কাউন্টি শেরিফ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিএনএন।
এর আগে কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তারা বিশ্বাস করে যে এ আবিষ্কারটি একটি ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ এবং এলাকাবাসীর জন্য কোনো ক্রমাগত হুমকি ছিল না।
শেরিফের কার্যালয় মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে কি না তা প্রকাশ করেনি।
এদিকে সিএনএনের সহযোগী সংস্থা কেজেসিটি সূত্রে জানা গেছে, একজন প্রতিবেশী নিখোঁজ হওয়ার আগে আমান্ডাকে স্কুলের দিকে হেঁটে যেতে দেখেছিলেন।
জেমসন পেরেজ নামের ওই ভদ্রলোক বলেন, ‘শেষবার আমরা ছোট মেয়েটিকে যখন দেখেছিলাম তখন সে স্কুলে যাচ্ছিল।’
তিনি আবিষ্কৃত দেহাংশ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছিলাম এটা কে হতে পারে? একসময় ভাবতে শুরু করি, সেই ছোট্ট মেয়েটিকেই পাওয়া গেল না তো ওখানে (ফ্রিজে)?’