রিয়াদ মাহমুদ সিকদার কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার একজন সফল মালটা বাগান চাষী মীর জিয়া। উপজেলা সদরের উজিয়াল খান নিবাসী আবুল হোসেন মীরের ছেলে মীর জিয়া নিজের জায়গায় গড়ে তুলেছেন মালটা বাগান। তার নিজস্ব এক একর জমির উপর এই মালটা বাগানের চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন।
এক সময় মালটা ফল দুর্লভ হলেও বর্তমানে অত্যন্ত সহজলভ্য জনপ্রিয় ফল মালটা। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ এ ফলে রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুনাগুন। জ্বর, ঠান্ডা জনিত কাশি, মাথাব্যথা সহ অনেক রোগ প্রতিরোধের হিসেবে এই মালটা কাজ করে। মীর জিয়া ২০২০ সালে মালটা চাষ চাষাবাদ শুরু করেন। তার মাল্টা চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখে এখন অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। উপজেলা সদরের গান্ডতা গ্রামে তার নিজস্ব এক বিঘা বাগানে উন্নত জাত বারি-১ মালটার ১৯০ টি চারা লাগান। প্রতিবছরই মালটা বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। ২০২৩ সালে খরচ বাদ দিয়ে ৩ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। মালটা চাষে তার প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মীর জিয়া জানান, ২০২৪ সালে ১২০ মন থেকে ১৪০ মন তার বাগানে মালটার ফলন হতে পারে। বাজারদর ভালো থাকলে প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা মালটা বিক্রি করতে পারবে। তিনি বলেন তার বাগানের মালটা বড় ও সুমিষ্টি। আমি মাল্টা চাষকে ব্যবসা হিসেবে বেছে নিয়েছি। বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছের ডালে থোকায় থোকায় সবুজ রঙের মালটা ঝুলছে ।আগামী দিনে বাণিজ্যিকভাবে আরও মালটা চাষ করার পরিকল্পনা আমার রয়েছে।
কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিসার সোমা রানী দাস বলেন, এলাকার মাটির গুণাগুণ ভালো। মালটা চাষে উপযোগী। কৃষি অফিস থেকে মালটা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মাল্টা চাষীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সহ সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমি মালটা চাষী মীর জিয়ার বাগান পরিদর্শন করেছি এবং তার মালটার বাগান বেশ সাজানো গোছানো। তার সফলতা দেখে অনেকেই মালটা বাগান চাষে আগ্রহী হবে।