নিজস্ব প্রতিবেদক :: :: ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চালকের কাছেই জিম্মি অ্যাম্বুলেন্স : সেবা পাননি অন্তঃসত্ত্বা নারী।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের রোগীদের জরুরি সেবায় রয়েছে দুটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু চালক মো. শাহাদাতের অনিয়ম ও কর্মস্থলে তার অনুপস্থিতির কারণে রোগীরা সময়মতো চিকিৎসাসেবা নিতে পারার অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, এ কারণে জরুরি চিকিৎসাসেবা নিতে মানুষকে ভরসা করতে হচ্ছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস অথবা অটো রিকশার ওপর।
এতে বাড়তি ভাড়া ও চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতাল সূত্র জানায়, এর আগে মহসিন নামে একজন চালক এসব অনিয়মের দায়ে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন শাহাদাত। তবে তিনি অনিয়ম ও কর্তব্যকাজে ফাঁকি দিয়ে আসছে নিয়মিত। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ধারাখানা এলাকার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ রিয়া মনিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।
তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়া মনিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চালককে না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন তারা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের জানালে তাদের ফোন পেয়ে ছুটে আসেন শাহাদাত। রিয়া মনির স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ সময় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করেছি। আমরা দেখেছি অ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজেই ছিল অথচ চালক শাহাদাত আমাদের সেবা দিতে চাননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চালক শাহাদাত বলেন, অফিসের কাজের কারণে ব্যস্ত ছিলাম। আমি সেবা দিতে চাইনি, এটা সত্য নয়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ কালবেলাকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সচালক শাহাদাত আউটসোর্সিংয়ে কাজ করেন। আমাদের চালক সংকট রয়েছে। তবে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।