নিজস্ব প্রতিবেদক :: পরিবেশের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর নিষিদ্ধ ঘোষিত ড্রাম চিমনি ও জিগজ্যাগ বিশিষ্ট ইটভাটা। বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন নিষিদ্ধ ইটভাটার সংখ্যা নেহাত কম নয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ রক্ষায় এসকল ইটভাটা বন্ধে চরম কঠোরতার নির্দেশনা দিলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ বেশ দুর্বল। নিয়মিত তো দুরের কথা, এসকল ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগ দেখা যায় কালেভাদ্রে। এমন উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয় সদর উপজেলার চারটি ইটভাটায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার চরকাউয়া ও তালুকদার হাট এলাকায় ৩টি নিষিদ্ধ ঘোষিত ড্রাম চিমনি ও একটি জিগজ্যাগ বিশিষ্ট ইটভাটায় এই অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় চরকরমজি কর্নকাঠি ও তালুকদার হাট স্থানে আর.এইচ.বি, দোলা,ফাইভ স্টার ও টাটা ব্রিকস (জিগজ্যাগ) নামক ইটভাটাকে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থার আওতায় আনা হয়। তবে অনিয়মিত এই অভিযানকে লোকদেখানো বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। কারন হিসেবে তারা জানায়, এসকল ইটভাটা অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। এর আগেও একাধিক অভিযানের পরেও এরা পূনরায় সাবেক রুপে ফিরে এসেছে। এই অভিযান কেবল নামমাত্র। স্থায়ীভাবে কখনোই এমন ইটভাটাগুলো বন্ধের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কখনই। অভিযানে যে জরিমানা করা হয় তাতে কিছু যায় আসেনা ভাটা মলিকদের। পরিবেশের ক্ষতি করে পরিচালিত এসকল ইটভাটায় ব্যয় কম তাই এরা এখন জরিমানার অর্থও খরচের অংকে হিসেব করে থাকে। শুধুমাত্র সদর উপজেলায় এমন ইটভাটা রয়েছে অনেক। স্থানীয়রা পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ বলেছে, কারন এই অভিযান আসার পূর্বেই অবৈধ ইটভাটা পরিচালনাকারিদের কাছে এর খবর চলে আসে প্রতিবার। আর ড্রাম চিমনি স্থানান্তর করা সম্ভব তাই পূর্বে খবর পেয়ে অধিকাংশ সময় সটকে পরে ইটভাটার মালিক কর্মচারিরা। অন্যদিকে পাশাপাশি দুটি অবৈধ ভাটা থাকলেও একটিতে অভিযান হয় অপরটিতে হয়না এমন ঘটনাও ঘটে অহরহ। বৃহস্পতিবারের অভিযানেই যে সকল ইটভাটাকে শাস্তির আওতায় আনা হয় তার পাশেই ছিল মোল্লা ব্রিকস নামের আরেক অবৈধ ভাটা। তবে সেখানে যায়নি পরিবেশ অধিদপ্তরের আভিযানিক দল। এসকল কারনেই দিন দিন এমন অভিযান হয়ে উঠছে প্রশ্নবিদ্ধ। আর যারা প্রকৃতপক্ষে পরিবেশের কথা ভেবে ইটভাটা নিয়মানুযায়ী পরিচালনা করে আসছে তারা হচ্ছে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ।